অর্ণব আইচ: বালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের নিচ থেকে আইনজীবীর দেহ উদ্ধার। পুলিশ সূত্রে খবর, চারতলায় তাঁর ফ্ল্যাটের জানলা থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় ওই আইনজীবীর। দুর্ঘটনা নাকি এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নিহত ওই আইনজীবী কৌস্তভ দাস। বছর বাহান্নর ওই আইনজীবী কলকাতা হাই কোর্টে ওকালতি করেন। অভিজাত আবাসনের চারতলায় থাকেন তিনি। সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে। তাঁর ফ্ল্যাটের স্লাইডিং জানলা। সম্ভবত জানলা সারাইয়ের কাজ চলছিল। সে কারণে গ্রিল খোলা ছিল। শনিবার রাতে ওই জানলার পাশে বসেছিলেন। সেই সময় আচমকাই একেবারে নিচে পড়ে যান।
কিছু পড়ে যাওয়ার আওয়াজ পেয়ে অন্যান্য আবাসিকরা দৌড়ে যান। গিয়ে দেখেন নিচে পড়ে রয়েছেন ওই আইনজীবী। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুক্ষণ চিকিৎসা হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। মৃত্যু হয় ওই আইনজীবীর। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, জানলায় বসে থাকাকালীন আচমকা মাথা ঘুরে যায় কৌস্তভ দাসের। অসাবধানতার বশে নিচে পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে আরও কিছু রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগে হাওড়াতেও প্রায় একই ঘটনা ঘটে। বালটিকুরীর নস্করপাড়ায় জানলা গলে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় বছর তিনেকের এক শিশুর। অভয় পোরেল নামে ওই শিশুটি বাবা-মায়ের সঙ্গে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকত। স্থানীয়দের দাবি, ওই ফ্ল্যাটটির একেবারে উপরতলায় টিনের ছাউনি দিয়ে ঘরটি তৈরি হয়েছিল। জানলায় কোনও গ্রিল না থাকায় এমন অঘটন ঘটে। এভাবে কেন ঘর তৈরি করা হল, সে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভও দেখান স্থানীয়রা। বালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের ঘটনা যেন হাওড়ার ঘটনার স্মৃতি ফেরাল।