জ্য়োতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বাগদার পর এবার ঠাকুরনগর। সামনে ছাব্বিশের বিধানসভা ভোট। তার আগে সিএএ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তার মধ্যেই মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ মহকুমার একাধিক এলাকায় ক্যাম্প করে নাগরিকত্বের ফর্ম ফিলআপ করাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এর আগে বাগদায় এমন ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল বিজেপি। তার পালটা তৃণমূল পরদিন শিবির করে বিজেপির ভাঁওতাবাজি নিয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করেন। সেই আবহেই এবার আসরে নামল মতুয়া মহাসংঘ।
ঠাকুরবাড়িতে নাগরিকত্বের ফর্ম ফিলআপ প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘ। ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরে সিএএ-র ক্যাম্প চলছে। নদিয়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া-সহ একাধিক এলাকা থেকে শতাধিক মানুষ এই শিবিরে যোগদান করেন। ফিরে আসা ব্যক্তিরা শিবির থেকে একাধিক প্রশ্নের উত্তর শুনছেন। মতুয়া মহাসংঘের এক কর্তার কথায়, “ফর্ম ফিলআপের খুঁটিনাটি বিষয় আমরা জানাচ্ছি যাতে যাঁরা ফর্ম ফিলআপ করতে আসবেন, তাঁদের কোনও সমস্যা না হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথ্য বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, “বহু মানুষ এই শিবিরে এসে যোগদান করছেন। কীভাবে মানুষকে ফর্ম ফিলআপ করতে হবে, কী কী নথিপত্র দরকার তা জেনে যাচ্ছেন।” তিনি আরও জানান, প্রায় দশ হাজারের বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই সিএএ-র ফর্ম ফিলআপ করেছেন। শতাধিক মানুষ ইতিমধ্যেই নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি মতুয়া উদ্বাস্তুদের সুবিধার্থে মতুয়া কার্ডও দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলকে একহাত নিয়ে শান্তনু বলেন, “মানুষকে ভুল বুঝিয়ে সিএএ নিয়ে ভীতি তৈরি করছে। এর ফর্ম ফিলআপ করলে কেউ নাগরিকত্ব হারাবেন না।”
প্রসঙ্গত, বনগাঁ মহকুমার একাধিক এলাকায় বিজেপি নেতারা সিএএ ফর্ম ফিলআপ সহযোগিতা ক্যাম্প শুরু করেছেন। এবার মতুয়া মহাসংঘের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করায় সিএএ যে আসন্ন ভোটে বড় ইস্যু হতে চলেছে, সেটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ বিষয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “ভোট এলেই মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য সিএএ-র কথা বলে বিজেপি। ক্যাম্প করে ফর্ম ফিলআপ করিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। যাঁরা ভোট দেন, যাঁদের ভোটার-আধার-রেশন কার্ড আছে, তাঁরা সকলেই এ দেশের নাগরিক।” এনিয়ে বনগাঁ সাংগঠনিক জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।