'কী মুখের ভাষা, শুভেন্দু একাই দায়িত্ব নিয়ে বাংলা থেকে বিজেপিকে তুলে দেবে', ফের তুলোধোনা কল্যাণের...
আজকাল | ১০ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ফের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তুমুল কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার পুলিশকে কটুক্তি করার অভিযোগ ওঠে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এরপরই মুখ খোলেন কল্যাণ। রবিবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'হাই কোর্টের সৌজন্যে একজন বিরোধী দলনেতা কত বড় ক্রিমিনাল হতে পারে, সেটা মানুষ দেখছে। হাই কোর্টও দেখুক। কী মুখের ভাষা! শুধু শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্ব নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিজেপিকে তুলে দেবেন।'
রবিবার এই কথা বলেছেন কল্যাণে। এদিন শ্রীরামপুরে গঙ্গা দর্শনের পর নিজের বাসভবনে বসে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে যে অরাজকতা তৈরি হয়েছিল নবান্ন অভিযানের নামে তা ভাবা যায় না। প্রচুর ক্রিমিনাল এক্টিভিটিস ঘটেছে গতকাল। পুলিশকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট এগুলি সব ঘটেছে। শুভেন্দু অধিকারী নিজে উস্কানি দিয়েছে। খুব বিশ্রী ভাষায় গালাগাল দিয়েছে।'
কল্যাণ আরও বলেন, 'জাস্টিস রাজশেখর মান্থা একটি রায়দান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে। সেই রায় দিয়েছিলেন, যার ফলে একের পর এক অপরাধমূলক কাজ করছে শুভেন্দু অধিকারী। ভাষা প্রয়োগ করছেন অত্যন্ত বাজে। পিগ সন বলছেন।' তৃণমূল সাংসদের দাবি, 'এই ধরনের কথাবার্তা রাজনীতিতে বলা উচিত নয়। এই ধরনের লোকদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। হাই কোর্টের সৌজন্যে একজন বিরোধী দলনেতা কত বড় ক্রিমিনাল হতে পারে মানুষ দেখছে। হাইকোর্টও দেখুক। সমালোচনা সবাইকে শুনতে হবে।'
প্রসঙ্গত, এদিকে দিন কয়েক আগেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ রাজনীতিক বলে প্রশংসার সুর ছিল শুভেন্দুর কণ্ঠে। যা ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু রবিবার শুভেন্দুর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করে, সেই জল্পনায় জল ঢাললেন কল্যাণ।
গত সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবর্তে অভিষেক ব্যানার্জিকে লোকসভার দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেন। এর পরপরই লোকসভার মুখ্য সচেতক পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বাগডোগরা বিমানবন্দরে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষিত মানুষ। ২০১১ সালের আগে সিপিএমের সঙ্গে যে সংঘর্ষ ছিল, তাতে কল্যাণের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।'
শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যের পর জল্পনা শুরু হয়েছিল, তিনি সম্ভবত কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে টানার চেষ্টা করছেন। তার জন্যেই হঠাৎ করেই প্রশংসার সুরে মন্তব্য করছেন। কিন্তু সেই জল্পনা বেশিদিন টিকল না। শুরুতেই শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে কল্যাণ বুঝিয়ে দিলেন, জল্পনা আসলে মিথ্যেই।