তৃণমূলের দ্বন্দ্বে ঐক্য হল না আদিবাসী উৎসবে। বদলে গেল সরকারি অনুষ্ঠান উদযাপনের স্থানও। জলপাইগুড়ি জেলায় একাধিক জায়গায় আদিবাসী উৎসবের আয়োজন করলেন তৃণমূল নেতারা। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, জলপাইগুড়ি জেলায় কেন্দ্রীয় ভাবে আদিবাসী উৎসবের আয়োজন করা হবে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে। সেখানেই তৃণমূলের সর্বস্তরের আদিবাসী নেতা এবং জেলা নেতারা যোগ দেবেন। সেই উৎসবের প্রস্তুতি সভাই দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ভেস্তে যায়। জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক খগেশ্বর রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জেলা তৃণমূলের এসসি ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাসের অনুগামীরা। যার জেরে শনিবার ডেঙ্গুয়ায়াঝাড় চা বাগানের পরিবর্তে সরকারি আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান হল চালসায়। তৃণমূলের বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা পৃথক ভাবে নিজেদের মতো উৎসবের আয়োজন করলেন।
যেখানে প্রথমে সরকারি আদিবাসী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল, সেই ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানে তৃণমূল নেতা মহেশ রাউতিয়া উৎসবের আয়োজন করেন। সেখান থেকে কিলোমিটার পাঁচেক দূরত্বে রংধামালিতে আদিবাসী উৎসবের আয়োজন করেন এসসি ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস। কিছুটা দূরে সরস্বতীপুর চা বাগানে আদিবাসী দিবসের আয়োজন করেন জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়।
আদিবাসী মহল্লা তথা চা বলয়ে দলের ভোট ‘ক্ষয়’ রুখতে তৃণমূলের সব চা শ্রমিক সংগঠনকে এক ছাতার তলায় আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ জলপাইগুড়িতে কার্যকর করতে পারেনি নেতারা। বিশ্ব আদিবাসী দিবস উদযাপনেও অনৈক্যের ছবি দেখলেন দলের কর্মীরা। জেলা তৃণমূলের এক নেতার কথায়, “সবটাই দেখা এবং বোঝা যাচ্ছে। কে, কোথায় দলের নির্দেশ না মেনে সমন্বয়ে জোর না দিয়ে নিজের প্রচারের চেষ্টা করলেন, সে সব বিস্তারিত ভাবে দলকে জানানো হয়েছে।”
জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “দলের নির্দেশ মেনেই পদক্ষেপ। দল সব জানে।” তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের একটি সূত্রে জেলাকে জানানো হয়েছে, ১৫ অগস্টের পরে আদিবাসী সংগঠনের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসা হবে।