হয়েছে অনেক কিছুই। কিন্তু পুলিশি বন্দোবস্ত নিয়ে এখনও কিছু ক্ষোভ রয়ে গিয়েছে উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একাংশের। বিশেষ করে পুলিশের নৈশ টহল বাড়ানোর দাবি উঠছে। পুলিশ হাসপাতালে নিরাপত্তার কোনও ঘাটতির কথা মানতে চায়নি।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানে আগে থেকেই একটি পুলিশ ক্যাম্প ছিল। সেখানে দু’তিন জন পুলিশকর্মী সবসময় থাকেন। আর জি কর-কাণ্ডের পরে দিন কয়েক রাতে একাধিকবার পুলিশের টহল চলেছে। এখন তা কার্যত বন্ধ বলে চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ।
হাসপাতালের সুপার তথা উপাধ্যক্ষ অগ্নিহোত্রী ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘নিরাপত্তায় সরকারি নির্দেশিকা মেনে যা করণীয়, করেছি। তবে পুলিশি ব্যবস্থা তো আমাদের হাতে নেই।আমাদের চাহিদা অনেক। ক্যাম্পে কিছু পুলিশকর্মী বাড়ানো হলে ভাল হত।’’
হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার সুবিমল পালের দাবি, ‘‘হাসপাতালে রাতে পুলিশ টহল দেয়। নিয়মিত নজরদারি চলে। ক্যাম্পে পুলিশকর্মী বাড়ানো যায় কি না, দেখা হচ্ছে।’’
আর জি কর-কাণ্ডের পরে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী বহাল হয়েছে। আগে রাতের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকদের (মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে) বিশ্রাম কক্ষ ছিল না। ছ’টি ঘর তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে মহিলাদের জন্য তিনটি। মহিলা চিকিৎসক এবং নার্সদের পোশাক পরিবর্তনের জন্যেও আলাদা ঘর হয়েছে। বিশ্রাম কক্ষে ঢোকার জন্য রয়েছে বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা।
হাসপাতাল জুড়ে বসেছে প্রচুর সিসিক্যামেরা। রাতে ‘অন কল’ নার্সিং ইনচার্জ তাঁর কোয়ার্টারে থাকেন। প্রয়োজন হলে তাঁকে হাসপাতালে আসতে হয়। কর্তৃপক্ষ জানান, সে সময় হাসপাতালের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী তাঁকে আনতে যান। হাসপাতাল চত্বরে রয়েছে ডাক্তারি ছাত্রী এবং নার্সিং ছাত্রীদের হস্টেল। এখানে হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষী সর্বক্ষণ বহাল থাকেন। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সনৎ ঘোষ জানান, রাতে ছাত্রী হস্টেলের নিরাপত্তার ব্যাপারে কঠোর নজর রাখা হয়।