বুজ আজ বিপন্ন। শনিবার তাই বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে রাখি উৎসবে গাছেদেরও পরিয়ে দেওয়া হল রাখি।
বাঁকুড়ার জয়পুরের শালজঙ্গলে গাছে গাছে রাখি পড়িয়ে আড়ম্বরহীন রাখি বন্ধন উৎসব পালন করল বন দফতর। ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক অটুট করতে সকাল থেকেই হাতে রাখি ভর্তি ট্রে নিয়ে ব্যস্ত ছিল ছাত্রছাত্রীরা। জয়পুর বালিকা বিদ্যালয়ের দুষ্টু দাস, নাড়িচা সর্বমঙ্গলা এলাকার অর্পিতা শীট, জয়পুর হাই স্কুলের সৌমেন মহাদণ্ড, ইলা মণ্ডল বলে, ‘‘বইয়ে পড়েছি অরণ্যের গুরুত্ব কতখানি। রাখি পরানোর মধ্যে দিয়ে যদি অরণ্যের সঙ্গে মানুষের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তবেই দূষণমুক্ত পৃথিবীর স্বপ্ন দেখা সার্থক হবে।” জয়পুরের রেঞ্জ আধিকারিক দুর্গাশঙ্কর দাস জানান, আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই সবুজ রক্ষার দায়িত্ব তাদের দেওয়া হল। পথচলতি মানুষকে মিষ্টিমুখ করিয়ে গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়।
ইন্দাসের বেশ কিছু সংস্থার উদ্যোগে রাখিবন্ধন উৎসব হল আকুই ফাঁড়ি মোড়ে। একটি প্রাচীন গাছে রাখি বাঁধা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামী ননীবালা গুহের মূর্তিতেও রাখি বন্ধন করা হয়। বাঁকুড়া জেলার জলজীবন মিশন প্রকল্পের তরফে আকুই গ্রামে রাখি বেঁধে জল অপচয় রোধে সচেতনতা প্রচার হয়। বিষ্ণুপুর পুরসভা রামশরণ মিউজ়িক কলেজের সভাকক্ষে অনুষ্ঠান করে। পথচলতি মানুষজনকে রাখি পরিয়ে মিষ্টিমুখ করান পুরপ্রধান গৌতম গোস্বামী-সহ পুরপ্রতিনিধিরা।
আড়শায় প্রশাসনের উদ্যোগে পালিত হল ‘সংস্কৃতি দিবস’। সিরকাবাদ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা জনপ্রতিনিধি ও ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের রাখি পরিয়ে দেয়। ব্লক প্রশাসন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বাল্যবিবাহ বিরোধী সচেতনতামূলক আলোচনা করে।