• অপরাধের অনুশোচনা নেই! তবে জেলের হাওয়ায় ‘শান্ত’ অভয়ার হত্যাকারী সঞ্জয়
    প্রতিদিন | ১০ আগস্ট ২০২৫
  • নিরুফা খাতুন: জেলের হাওয়া কিছুটা হলেও বদলে দিয়েছে আর জি করের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনে সাজাপ্রাপ্ত সঞ্জয় রায়কে। যদিও সেই ঘৃণ‌্য অপরাধের জন‌্য অনুশোচনার লেশমাত্র নেই তার মধ্যে। তাহলে কোথায় বদল? শনিবার আর জি কর কাণ্ডের এক বছর পূর্তি হল। ওই অপরাধে দোষী সাব‌্যস্ত সঞ্জয়ের ফাঁসির সাজার দাবি উঠলেও তা মানা হয়নি। তাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের দিয়েছে আদালত। বর্তমানে তার ঠিকানা প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার।

    কারাগার সূত্র জানাচ্ছে, সাজাপ্রাপ্ত আসামি সঞ্জয়ের মধ্যে আগের মতো আগের মতো হিংস্র, আগ্রাসী আচরণ দেখা যাচ্ছে না। বরং সে অনেকটা শান্ত এখন। জেলের জল-হাওয়া তাকে কিছুটা নরম করে দিয়েছে। অন‌্য কয়েদিরা এখন তার সঙ্গে কথা বলছে, একসঙ্গে খাওয়াদাওয়াও করছে। সঞ্জয় সহ-বন্দিদের সঙ্গে ক‌্যারাম খেলছে, টিভি দেখছে। সূত্রের খবর, নৃশংস অপরাধের অনুশোচনা সঞ্জয়ের মধ্যে কখনও দেখা যায়নি। তবে জেলে প্রথম দিকে খুব বদমেজাজি ছিল সে। সবসময় একটা রুদ্রমূর্তি নিয়ে থাকত। তার ওই বদমেজাজি ভাব দেখে জেলের বাকি বন্দিরা তাকে এড়িয়ে চলত। সঞ্জয়ও কারও সঙ্গে মিশত না। কথাও বলত না। সংশোধনাগারের কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব‌্যবহার করত। কর্মীদের কথা শুনত না। গোঁয়ার্তুমি করত। এখন তার সেই স্বভাবে কিছুটা পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। সময়, পরিবেশের ছোঁয়ায় এখন সে বাকিদের সঙ্গে কথা বলছে। একসঙ্গে বসে খাচ্ছে। কর্মীদের সঙ্গেও ভালো ব‌্যবহার করছে। কর্মীরা একবার কিছু বললে সঙ্গে সঙ্গে তা করছে।

    ২০২৪ সালের ৯ আগস্ট আর জি কর সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় আলোড়ন উঠেছিল, যার ঢেউ রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রায় সারা দেশে। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই কলকাতা পুলিশ সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করেছিল। তারপর মামলার তদন্তভার নেয় সিবিআই। গত জানুয়ারিতে আদালত তাকে দোষী সাব‌্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। জেলে সঞ্জয়ের কাজ পড়েছে বাগান পরিচর্যা করার। রোজ সকালে সে বাগান পরিচর্যা করছে। ঘন্টা দুয়েক সেখানে কাটাচ্ছে। শনিবার ছিল রাখিপূর্ণিমা। বন্দিদের বোন ও দিদিরা সংশোধনাগারে এসে রাখি পরিয়ে যান। সঞ্জয়ের দুই দিদি আছেন। এদিন অবশ‌্য তাঁরা কেউ ভাইকে রাখি পরাতে আসেননি বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, জেলে আসার পর থেকে কখনও তার পরিবারের কেউ দেখাও করতে আসেনি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)