মনিরুল ইসলাম, উলুবেড়িয়া: ফের উদ্ধার কর্তার ভূমিকা হ্যাম রেডিও। এই সংস্থার সাহায্যে হাওড়ার শ্যামপুরের নিখোঁজ মহিলার খোঁজ মিলল উত্তরপ্রদেশের হোমে। মহিলাকে বাড়িতে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। হারানো মেয়ের খোঁজ পেয়ে খুশি পরিবারের সদস্যরা।
মহিলা কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। আগেও বেশ কয়েকবার বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিলেন। পরেও ফিরেও এসেছিলেন। কিন্তু বছর দেড়েক আগে মহিলা তাঁর দাদার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। জানা গিয়েছে, কোনও লরি চালক তাঁকে ভুলভাল বুঝিয়ে লরিতে তুলে নেয়। মহিলা চলে যান উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ বারাণসী স্টেশনের কাছ থেকে তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করে। মহিলার স্থান হয় এক সরকারি হোমে।
এদিকে মহিলার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পরিবার। অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশেও। এই খবর যায় কলকাতা হ্যাম রেডিওর সম্পাদক অম্বরীশ নাগ বিশ্বাসের কাছে। কাজ শুরু করে হ্যাম রেডিও। অন্যদিকে মহিলা রাখা হয় পান্ডেপুর মেন্টাল হোমে। হোম কর্তৃপক্ষ মহিলার বাংলায় কথাবার্তা শুনে বুঝতে পারেন তিনি বাঙালি। তাঁরা যোগাযোগ করে হ্যাম রেডিওর পশ্চিমবঙ্গ শাখার সঙ্গে। হ্যাম রেডিওর কর্তারা ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন মহিলার বাড়ি হাওড়ায়।
কিন্তু মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা নির্দিষ্ট জায়গা বলতে পারছিলেন না। কখনও গাদিয়াড়া, কখনও শ্যামপুর, তুলশিবেড়িয়ার নাম বলছিলেন তিনি। হ্যাম রেডিও কর্তারা আমতার বিধায়ক সুকান্ত পালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি ডিআইবিকে বিষয়টি জানাতেই মহিলার পরিবারের খোঁজ মেলে। সুকান্তবাবু বলেন, “বিষয়টি আমি ডিআইবিকে জানানোর পরে তারা দ্রুততার সঙ্গে ওই মহিলার পরিবারের নম্বর জোগাড় করে দেয়। সেই নম্বর হ্যাম রেডিওর কর্তাদের দেওয়া হয়। তারপর তারা যোগাযোগ করেন ওই মহিলার পরিবারের সঙ্গে।” অম্বরীশবাবু জানান, “ওই মহিলার দাদার সঙ্গে কথা বলা হয়। নিখোঁজ মহিলার কথা বলিয়ে দেওয়া হয় তার দাদার সঙ্গেও। ওরা উভয়ে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়ে। ওই মহিলাকে বাড়ি পৌঁছনোর প্রক্রিয়া চলছে।”