বিজেপি নেতার সঙ্গে নির্জন রাস্তায় স্ত্রী! পরকীয়া হাতেনাতে ধরে ফেলায় ‘আক্রান্ত’ স্বামী
প্রতিদিন | ১০ আগস্ট ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাসত: এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান তথা বিজেপি নেতার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল স্ত্রী। বহুবার সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার আবেদন করেছিলেন স্বামী। তা সত্ত্বেও স্ত্রী বা তাঁর প্রেমিক, কেউই সেকথা কানে তোলেননি। গোপনেই চলছিল প্রেমপর্ব। ঝামেলা হল শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্জন রাস্তায় স্ত্রীকে প্রেমিকের সঙ্গে দেখে ফেলায়। পরকীয়া হাতেনাতে ধরতেই স্বামীকে আক্রান্ত হতে হল বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন কল্যাণী মোড়ের বিএসএফ ক্যাম্পের ৪ নম্বর গেট লাগোয়া এলাকায়। এনিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মরিচার রাজবেড়িয়া এলাকায় বাসিন্দা উজ্জ্বল দাস। একই এলাকার বাসিন্দা হওয়ার সূত্রে তাঁদের বাড়িতে যাতায়াত শুরু করেন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব ওরাং। ধীরে ধীরে উজ্জ্বলের স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে বলে দাবি। এনিয়ে দাস দম্পতির মধ্যে অশান্তিও শুরু হয়। তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। এমন আবহে শুক্রবার সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ নির্জন রাস্তায় সঞ্জীবের সঙ্গে স্ত্রীকে দেখে ফেলেন উজ্জ্বল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, তখনই উজ্জ্বলকে বেধড়ক মারধর করে প্রাণনাশের হুমকি দেন ওই বিজেপি নেতা।
আক্রান্ত উজ্জ্বল দাসের বক্তব্য, “বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব আমার স্ত্রীকে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পে সুপার ভাইজার পদে চাকরি দিয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছে। ওর জন্যই আমাদের সংসার ভেঙেছে। আমার ১০ বছরের ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এনিয়ে বহুবার স্ত্রী ও সঞ্জীবকে বলেছি। কিন্তু লাভ হয়নি। হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলায় আমাকে মারধর করেছে, মোবাইল কেড়ে ওদের ভিডিও-ছবি ডিলিট করে খুনের হুমকি দিয়েছে। এলাকার সিসি ক্যামেরায় এর প্রমাণ আছে। এরপর স্ত্রীকে দিয়ে আবার থানায় আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছে। ভীষন আতঙ্কে আছি। ওর শাস্তির দাবি করছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীবের দাবি, “আমার সঙ্গে উজ্জ্বলের দেখাই হয়নি। ওর সঙ্গে রাস্তায় স্ত্রীর গন্ডগোল হয়েছে শুনেছি। তারপর তৃণমূলের লোকদের সঙ্গে নিয়ে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। আসলে আমি আমডাঙা বিধানসভার সম্ভাব্য বিজেপি প্রার্থী। তাই আমার নামে কুৎসা রটাতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” পাল্টা আমডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, “অনেকদিন ধরেই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন চলছিল। এরপর শুনলাম হরিণঘাটা থানায় বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি দেখছে। নিজেকে বাঁচাতে ওই পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূলের নাম জড়াচ্ছে।”