• দার্জিলিংয়ের ২৯ মাইলে তিস্তার গর্ভে তলিয়ে গেল জাতীয় সড়ক! ধস নামল মিরিকেও
    প্রতিদিন | ১০ আগস্ট ২০২৫
  • বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: ক্রমাগত ভূমিধসে বিধ্বস্ত দার্জিলিংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা। এবার নতুন করে ধস দেখা গেল ২৯ মাইল এলাকায়। তিস্তার গর্ভে তলিয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ। ক্রমাগত ভারী বৃষ্টিতে ধস নামল মিরিকেও। ক্রমাগত ধসে আগামী দিনে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অস্তিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ক্রমাগত ভারী ও অতি ভারী বৃষ্টিতে মাটি ক্রমশ আলগা হয়ে যাচ্ছে। নতুন করে রাস্তা তৈরিতেও সমস্যা হচ্ছে বলে খবর।

    শ্রাবণ মাসের শুরু থেকেই উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি-সহ পার্বত্য জেলাগুলিতে বৃষ্টি চলছে। সিকিমেও অতি ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকা বিপর্যস্ত। জনজীবন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ধসে বিপর্যস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিকিমের একাধিক জায়গায় ধসে বন্ধ জাতীয় সড়ক। দার্জিলিং জেলার একাধিক জায়গাতেও ধস নেমেছে জাতীয় সড়কে। চলতি সপ্তাহেই শিলিগুড়ি-সিকিম জাতীয় সড়ক বন্ধ ছিল। নতুন করে সেটি চালু পরে ফের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। ফলে কোনও জায়গায় জাতীয় সড়ক সম্পূর্ণ বন্ধ। কোথাও আবার একদিক দিয়ে যাতায়াত করছে গাড়ি।

    এরই মধ্যে আজ, শনিবার ২৯ মাইলে জাতীয় সড়কের একটা বড় অংশ এবার তিস্তায় তলিয়ে গেল। ধস নামল মিরিকেও। নতুন করে এইসব এলাকায় ধস নামায় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে প্রশাসনের একাংশের অন্দরেও। শুক্রবার থেকে ভূমিধসে অবরুদ্ধ লিউকিবীর এলাকা। ক্রমাগত ধস নামলে জাতীয় সড়কের অস্তিত্ব কি থাকবে? সেই প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে উঠছে। একদিক সামলে না উঠতেই অন্যদিক তিস্তা গর্ভে বিলীন হতে শুরু করায় বিপাকে পড়েছেন ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। রাস্তার এক দিক দিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। ফের ধস নামার আতঙ্ক কাজ করছে। পাশাপাশি উপর থেকে বড় পাথর ভেঙে পড়ার আশঙ্কাও থাকছে। ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেডের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পাহাড় কেটে নতুন করে রাস্তা তৈরি হচ্ছে একাধিক জায়গায়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু এভাবে টানা ভূমিধস চললে কতটা নিরাপদ থাকবে জনজীবন? যোগাযোগ ব্যবস্থাই বা কতটা সচল থাকবে? সেই প্রশ্ন উঠেছে।

    এরই মধ্যে ১১ আগস্ট থেকে দু’দিন ফের পাহাড়ে অতি ভারী বৃষ্টির কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। ফলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? সেই আতঙ্ক রয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)