হড়পা বান, ধসে উত্তরকাশীতে বদলে গিয়েছে ভাগীরথীর গতিপথ! জন্ম হয়েছে নতুন এক হ্রদের, বিপদের আশঙ্কা
আনন্দবাজার | ০৯ আগস্ট ২০২৫
হড়পা বান এবং তার জেরে ধসের কারণে উত্তরকাশীর হর্ষিল উপত্যকায় গতিপথ বদলে গিয়েছে ভাগীরথীর। শুধু তা-ই নয়, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে নতুন একটি বিশাল হ্রদের জন্ম নিয়েছে। আর এই ঘটনার জেরে বিপদের আশঙ্কা করছেন ভূবিজ্ঞানীরা।
জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার যে হড়পা বান নেমে এসেছিল হর্ষিল উপত্যকার ধরালী এবং হর্ষিল গ্রামে, সেই হড়পা বান আর তার সঙ্গে বয়ে নিয়ে আসা বড় বড় পাথর, কাদাস্রোত গিয়ে পড়েছিল ভাগীরথীতে। ফলে ভাগীরথীর গতিপথ রুদ্ধ হয়ে যায়। আর তার জেরে একটি বিশাল হ্রদের জন্ম নেয়। গতিপথ বদলে গিয়েছে ভাগীরথীরও। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই জলাশয়কে ঘিরেই বাড়ছে আতঙ্ক। হর্ষিলে যে সেনাছাউনি ছিল, সেখানেই এই বিশাল হ্রদের জন্ম হয়েছে। হড়পা বানের সঙ্গে বয়ে আসা পাথর, কাদার স্রোতে ভাগীরথীতে প্রাকৃতিক বাঁধ তৈরি হয়েছে। যার জেরে বিপদ বাড়ছে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই হ্রদ এতটাই বড় যে, সেনাছাউনির অর্ধেকের বেশি অংশ ডুবে গিয়েছে। ভূবিজ্ঞানী এবং স্থানীয়দের মতে, ভাগীরথীর জলপ্রবাহে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এই প্রাকৃতিক বাঁধ। ভাগীরথীর গতিপথ পুরোপুরি রুদ্ধ হয়নি ঠিকই, কিন্তু প্রাকৃতিক বাঁধের কারণে জমা জলের চাপ বাড়লে বড় কোনও বিপদ ঘটতে পারে। ধরালী এবং হর্ষিল গ্রাম এমনিতেই ধসের কারণে বিপর্যস্ত। কিন্তু নতুন এই হ্রদের জন্ম হওয়ায় এই দুই গ্রামের বিপদ বাড়ল বলেই আশঙ্কা করছেন স্থানীয়েরা।
দুর্যোগের পর শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচশোর বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের খুঁজে বার করতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। এই দুর্যোগে এখনও পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ৫০ জনেরও বেশি।