• ‘নিজের মুখ দেখাতেই অভয়ার মাকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে’, কৌস্তভের ‘গুন্ডাগিরি’র তীব্র নিন্দা কুণালের
    প্রতিদিন | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভয়া-মৃত্যুর একবছরে শহরজুড়ে প্রতিবাদী জমায়েত। আর জি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় যথাযথ বিচার মেলেনি বলে অভিযোগ তুলে সিবিআই-এর উপর চাপ তৈরির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি। শনিবার একদিকে পার্ক স্ট্রিট, অন্যদিকে সাঁতরাগাছিতে বিজেপির নেতৃত্বে বিক্ষোভ চলছে। পার্ক স্ট্রিটে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মীরা। সেখানে ছিলেন অভয়ার মা-বাবাও। ধস্তাধস্তিতে অভয়ার মা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে অভিযোগ বিজেপির। তবে তৃণমূল গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক নাটক বলে দাবি করেছে। বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচীকে নিশানা করে দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের অভিযোগ, তিনি নিজে সংবাদমাধ্যমে মুখ দেখাবে বলে অভয়ার মাকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ কেন অভয়ার মা-বাবাকে মারবে?

    পূর্বপরিকল্পনামতো শনিবার দুপুর থেকে পার্ক স্ট্রিটে জমায়েত শুরু করেন বিজেপি নেতা, কর্মীরা। সেখানে পরে যোগ দেন অভয়ার মা-বাবাও। এদিকে জমায়েতে অশান্তি রুখতে মোতায়েন ছিল প্রচুর পুলিশ। একসময়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতেই অভয়ার মা জখম হন, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে জানান বিজেপি নেতারা। অভয়ার বাবা অভিযোগ জানান, তাঁকেও পুলিশের মার খেতে হয়েছে।

    বিজেপির এই অভিযোগকে ‘ডাহা মিথ্যে’ বলে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে তৃণমূল। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে দলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের বক্তব্য, ”অভয়ার মা-বাবাকে যেভাবে রাজনীতি ব্যবহার করল বিজেপি, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিজেপি নেতা ‘ন্যাড়া নাড়ু’ নিজের মুখ ক্যামেরায় দেখাবে বলে অভয়ার মাকে ঠেলে ফেলে দেয়। তাঁদের মবের মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে। নোংরামো করেছে বিজেপি।” মা-বাবার উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, ”তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কিন্তু যে বিজেপি সিবিআইয়ের মালিক, তাঁদের সঙ্গে যাচ্ছেন নবান্ন অভিযানে! এটা দ্বিচারিতা নয়?”  রাখির দিন এমন অশান্তি তৈরির নেপথ্যে বিজেপিকেই দায়ী করে কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ”যাঁরা নিজেদের হিন্দু, সনাতনী বলে দাবি করছে আর রাখির মতো পবিত্র দিনে অশান্তি করছে, তাঁরা হিন্দু? তাঁরা হিন্দুর নামে কলঙ্ক।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)