• ‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব’, নয়ডায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা সামিরুলের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • হরিয়ানার গুরুগ্রামের পর এবার উত্তর প্রদেশের নয়ডায় পৌঁছলেন পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের চেয়ারম্যান ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। শনিবার নয়ডায় বসবাসকারী পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনেন তিনি। অভিযোগ, শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য নয়ডার মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যেও শ্রমিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে।

    সামিরুলের দাবি, ‘গুরুগ্রাম থেকে নয়ডায় এলেও, পরিস্থিতি একই রকম। প্রতিটি প্রান্তে বাঙালি শ্রমিকদের মনে আতঙ্ক কাজ করছে। তাঁদের অভিযোগ, ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে তাঁদের হেনস্থা করা হচ্ছে।’

    সমাজমাধ্যমে সামিরুল লেখেন, ‘এখানে বাঙালি-বিরোধী মানসিকতা এতটাই প্রকট যে, উত্তর প্রদেশে মাছ খাওয়ার উপর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এটা শুধু খাদ্যাভ্যাসে হস্তক্ষেপ নয়, এটা একপ্রকার সাংস্কৃতিক নিপীড়ন।’ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ জানান, এক পরিযায়ী মহিলা তাঁকে বলেন, শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য তাঁদের ‘কুকুরের মতো’ ব্যবহার সহ্য করতে হচ্ছে। এই বক্তব্য শুনে নিজের লজ্জা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন সামিরুল।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সামিরুল বলেন, ‘এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের যেকোনও রাজ্যে কাজ করার ও বসবাস করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সেটা বাংলার শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য। কেউ তাঁদের এই অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। আমরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব।’

    তিনি আরও জানান, পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা ও মর্যাদা রক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেস সবসময় তাঁদের পাশে রয়েছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে একের পর এক ঘটে চলা এমন ঘটনার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও জনমত গড়ে তুলবে তৃণমূল।

    পরিযায়ী শ্রমিকদের বাস্তব পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এর আগেও সামিরুল হরিয়ানার গুরুগ্রামে গিয়েছিলেন। এবার দিল্লি সংলগ্ন নয়ডায় গিয়ে সরব হলেন তিনি। আগামী দিনেও অন্যান্য রাজ্যে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জানান তিনি।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)