• কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ফাঁসির আসামির আত্মহত্যার অভিযোগ, নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন
    বর্তমান | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ফাঁসির আসামির আত্মহত্যার অভিযোগ ঘিরে শোরগোল। সেলের মধ্যেই গলায় ফাঁস দিয়ে সুরেশ রায় (২৪) নামে ওই সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছে বলে সূত্রের খবর। এ ঘটনায় জেলের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। কিছুদিন আগেই পকসো মামলায় অভিযুক্ত এক বিচারাধীন আসামি জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল।আর এবার সাজাপ্রাপ্ত যে বন্দি আত্মহত্যা করেছে, তার বাড়ি শিলিগুড়ির ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের উদয়ন কলোনিতে। ২০২১ সালে ভক্তিনগর থানা এলাকার একটি খুনের মামলায় গত ২৯ মার্চ জলপাইগুড়ি জেলা আদালত তাকে ফাঁসির সাজার নির্দেশ দেয়।ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিসতুতো দাদাকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় সুরেশকে ফাঁসির সাজা শোনায় আদালত। ২০২১ সালের ৪ মার্চ ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ির ভক্তিনগর থানার মধ্য শান্তিনগর ডাবগ্রাম নতুন ব্রিজ এলাকায়। অভিযুক্ত তারই পিসতুতো দাদা শঙ্কর দাসকে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাতসকালে রাস্তার মাঝে কুপিয়ে খুন করে।ঘটনার তদন্তে পুলিস জানতে পারে, অভিযুক্ত সুরেশ এলাকার এক তরুণীকে পছন্দ করত। রাস্তাঘাটে মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করত সে। কিন্তু ওই তরুণীর পরিবার বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি। তারা এনিয়ে সুরেশের পিসতুতো দাদা পেশায় রাজমিস্ত্রি শঙ্করকে জানায়। সুরেশকে শাসন করতে বলে। এরপরই সুরেশকে ডেকে ওই তরুণীকে বিরক্ত না করার জন্য বলেন শঙ্কর। এতে ক্ষোভ তৈরি হয় সুরেশের মনে। এরই মধ্যে ওই তরুণীর অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ায় সুরেশের যাবতীয় রাগ গিয়ে পড়ে তার পিসতুতো দাদা শঙ্করের উপর। তারই জেরে সে ওই নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটায়।    নিহতের শরীরে মোট আঠারো জায়গায় ধারালো ছুরি দিয়ে কোপানোর চিহ্ন পাওয়া যায়। যেভাবে ওই খুনের ঘটনাটি ঘটানো হয়, ফাঁসির সাজা শোনাতে গিয়ে আদালত সেটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে চিহ্নিত করে। মামলায় মোট ১২ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)