আজকাল ওয়েবডেস্ক: দমদমে উদ্ধার কাটা হাত। আতঙ্কে এলাকাবাসী। শুক্রবার নাগেরবাজার থানার অন্তর্গত দমদম স্টেশন লাগোয়া এমসি গার্ডেন রোডের ওয়ার্ড নম্বর ২৪-এর ঘটনা। এলাকাতেই রয়েছে তরুণ সংঘ ক্লাব। ঠিক তার কছেই একটি ছোট ড্রেনের ধারে পরে রয়েছে কাটা হাত। কালো হয়ে গিয়েছে হাতের চামড়া৷ কবজি থেকে আলাদা হয়ে পরে রয়েছে মানুষের কাটা হাতটি৷ কাটা হাতের আলনা ও রেডিয়াস হাড় দুটোও স্পষ্ট। রক্তে লাল হয়ে যাওয়া অংশ যা শুকিয়ে গিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
এই দৃশ্য দেখেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পথচলতি মানুষ কাটা হাত দেখেই থমকে যাচ্ছেন আতঙ্কে। সন্ত্রস্ত সাধারণ মানুষ৷ খবর গেল নাগেরবাজার থানায়। তড়ঘড়ি করে ছুটে এল পুলিশ৷ পথচলতি মানুষের ভিড়। তবে পুলিশ আসতেই ভাঙল রহস্য! এটি মূলত একটি নকল কাটা হাত। যা এই এলাকায় মূলত আগের বছর কালী পুজোর থিমের সময় কোনও কিছু বানান হয়েছিল মূর্তি বিশেষ, আর সেখান থেকেই এসেছে এই হাত।
কেউ বা কারা মজা করেই কখনও টালির চালের ওপর বা কখনও ড্রেনের ধারে ফেলে দিয়ে থাকে। প্রায় ছয় মাস আগেই একই ঘটনা ঘটেছিল এবং সে সময়ে যথেষ্ট পরিমাণে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল এলাকা জুড়ে। রাতের বেলা ওই হাত দেখে পথচলতি মানুষ থমকে যায়। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, পরে বোঝা যায় সেটা নকল হাত৷ এদিন শুক্রবার বিকেলে ড্রেন থেকে এই 'হাত'টি উদ্ধার হলে পূর্বের ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা জানান এক প্রতিবেশী। তিনিই মূলত গুঞ্জন দেখে বাড়ি থেকে নেমে এসে হাতটি তুলে নিয়ে পথে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের বুঝিয়ে দিলেন এটি নকল হাত। বললেন আসল রহস্যের কথাও।
বারবার এই ভাবে নকল হাত নিয়েই আতঙ্ক ছড়ায় ওই পাড়ায়। যারা জানেন তারা সরে যান, মুচকি হাসেন। আবার অনেকেই যারা জানেন না তারা আতঙ্কিত হন। যেমন ছয় মাস আগে ঘটেছিল এবং পুনরায় আজ আবার আতঙ্ক ছড়াল দমদমে। তবে এবার পুলিশ এসে ওই হাত নকল বলেই জানালেন, প্রমাণস্বরূপ ছবিও তুলে নেয় পুলিশ। যাতে আর আতঙ্ক না ছড়ায় সেই কারণে নকল হাতটি এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় নাগেরবাজার থানার পুলিশ।
গত জুলাই মাসেই এই এমসি গার্ডেন এলাকা থেকেই এক মহিলার পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বহুদিন ধরেই মরে বাড়ির ভিতরেই পড়েছিলেন ওই মহিলা। খোঁজও নেননি কেউ। দিদিদের সঙ্গে মতের মিল না হওয়ায় একাই থাকতেন বাড়িটিতে। হঠাৎ তাঁদের খেয়াল হয় বোন সুপর্ণার কোনও খবর নেই। অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা বিফল হলে বোনের খোঁজ করতে শুরু করেন দিদিরা। কাউন্সিলর পরামর্শে পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করার জন্য শনিবার কাগজপত্র আনতে বাড়িতে গিয়ে দেখেন গোটা বাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। এর পরেই একটি বন্ধ ঘর থেকে বোনের লাশ উদ্ধার করেন তাঁরা। পেশায় যোগবিদ ছিলেন ওই মহিলা। 'যোগা' ক্লাস করাতেন এবং নিজে যোগা ও মেডিটেশন করতেন।