• দলের কথা বাইরে বলব না, হঠাৎ কেন এই কথা বললেন কল্যাণ?
    আজকাল | ০৯ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘‌দলের ভিতরের কোনও কথাই বাইরে বলব না।’‌ বৃহস্পতিবার লোকসভায় দলের নেতা অভিষেক ব্যানার্জির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই কথা জানালেন শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।‌ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে কী কথা হয়েছে সেই প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কল্যাণ বলেন, দেড় ঘণ্টার কাছাকাছি সময় ধরে বৈঠক হয়েছে এবং সেটা খুবই ভাল হয়েছে। তবে কী কথা হয়েছে সেটা দলের ভিতরের কথা। যেটা বাইরে বলা যাবে না।

     চলতি সপ্তাহের সোমবার দলনেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হন তৃণমূলের সমস্ত সাংসদ। যে বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো লোকসভায় দলীয় কো–অর্ডিনেশন বা সমন্বয়সাধনের উপর আরও বেশি জোর দিতে বলেন। এর কিছুক্ষণ পরই লোকসভায় তৃণমূলের চিফ হুইপ বা মুখ্য সচেতকের পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ। যার কারণ হিসেবে তিনি জানান, মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছেন লোকসভায় দলের কো–অর্ডিনেশন ঠিকমতো হচ্ছে না। আঙুল তুলেছেন তাঁর দিকে। ফলে দলনেত্রী যখন মনে করছেন সমন্বয়সাধনের কাজ ঠিকঠাক হচ্ছে না তখন তিনি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরেই কল্যাণ জানিয়েছিলেন, অভিষেক তাঁকে ফোন করেছিলেন এবং আগামী ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার তাঁদের মধ্যে একটি বৈঠক হবে। বৃহস্পতিবার সেই বৈঠকেই বসেছিলেন তাঁরা। 

    যদিও ইস্তফার পরেই কল্যাণকে ঘিরে তৈরি হতে থাকে একের পর এক জল্পনা। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি কতদিন আর থাকবেন বা দল ছাড়তে চলেছেন কিনা সেই নিয়ে তৈরি হয় একাধিক ‘‌গুজব’‌। বিষয়টি আরও বেশি মাত্রা পায় যখন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই কল্যাণ তৃণমূলের সঙ্গে আছেন। যদিও সমস্ত রটনা বা গুজব উড়িয়ে দিয়ে শ্রীরামপুরের সাংসদ জানান, তিনি প্রয়োজনে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন কিন্তু অন্য কোনও দলে যাবেন না। তাঁর কথায়, ‘‌মমতা ব্যানার্জিকে দেখেই আমি রাজনীতি করি। রাজনৈতিক জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনিই আমার নেত্রী।’‌ কল্যাণ চিফ হুইপ–এর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ওই পদে তৃণমূল দায়িত্ব দিয়েছে দলের আরেক সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। অন্যদিকে দায়িত্ব ছাড়ার পর কল্যাণ জানিয়েছেন, তাঁকে অনেক মামলা করতে হয়। যেগুলি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট দুই আদালতেই হয়। সেগুলো এখন তিনি মন দিয়ে করতে পারছেন। 

    নাম না প্রকাশের শর্তে তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ‘‌কল্যাণদার বিষয়টা হল তিনি যখন রেগে যান বা আঘাত পান তখন মনে যেটা তাঁর থাকে সেটা একেবারেই খোলাখুলি বলে দেন। ক্ষোভ বা রাগ কোনওকিছুই যেমন তিনি পুষে রাখেন না তেমনি লোকের পিছনেও কিছু বলেন না। এই বিষয়টি একটি আলাদা গুণ। কারণ বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে মনে এবং মুখে এক হওয়াটা যথেষ্টই কঠিন।’‌ 

     
  • Link to this news (আজকাল)