আজকাল ওয়েবডেস্ক: খাস কলকাতার নারকেলডাঙা এলাকায় উদ্ধার যুবতীর দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর ওই যুবতী, গৃহবধূর নাম শ্বেতা প্রসাদ সাউ। বাবা ওম প্রসাদ সাউ। স্বামী রোহিত কুমার সাউ। যুবতীর বয়স ২৯। ৭ডি/ ১বি, বেলেঘাটা রোড, বস্তাপট্টি থেকে যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। জানা গিয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ৬ আগস্ট দুপুরে গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গে স্বামী রোহিত কুমার সাউ জানিয়েছেন, অন্যান্য দিনের মতো তিনি সেদিনেও ৭:০০ টায় ৭, গুড়িপাড়া রোড ঠিকানার তাঁর দোকানের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। রাত ১১:০০ টায় বাড়ি ফিরে আসেন। আর্থিক অনটনের কারণে তাঁদের মেঘালয় ভ্রমণ বাতিল হয়ে ঘিয়েছিল। ঘরে ফেরার পর এই প্রসঙ্গে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর তীব্র বিবাদ হয় বলে জানিয়েছেন । রোহিত জানিয়েছেন, বাক-বিতণ্ডার পর তিনি সেখান থেকে অন্য একটি ঘরে চলে যান।
তাঁর বক্তব্য, ঝগড়ার পর স্ত্রী অন্য ঘরে ছিলেন। বেশ অনেকক্ষণ পরেও স্ত্রীর কোনও খোঁজ না পেয়ে ওই ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। শ্বেতার ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। জানা গিয়েছে ২০১৫ সালে রোহিত-শ্বেতার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই মেয়েও রয়েছে। আরাধ্যা ও অন্বি। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের মতে, গত দু' বছর ধরেই এই দম্পতির মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলটি লালবাজার মোবাইল ফরেনসিক ইউনিট-এর তদন্তের জন্য সুরক্ষিত রাখা হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
সূত্রের খবর, শ্বেতার মৃত্যুর পর বিস্ফোরক অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। শ্বেতার বাবা, ওম প্রকাশের অভিযগের তীর তাঁর জামাইয়ের দিকে। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার ছিলেন যুবতী। দুই মেয়ে থাকার পরেও, পুত্র সন্তানের জন্ম না হওয়া নিয়েও একাধিকবার হেনস্থার শিকার হয়েছেন তিনি। রোহিতের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলেও বিস্ফোরক ওম প্রকাশ। সূত্রের খবর তেমনটাই। শ্বেতার শ্বশুরবাড়ির 'আত্মহত্যার' দাবি মানতে নারাজ ওম প্রকাশ।