একবালপুরে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীকে অস্ত্রোপচারের পর ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার হাসপাতালকর্মী
আজকাল | ০৯ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতার একবালপুর থানা এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল হাসপাতালেরই এক গ্রুপ-ডি কর্মীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩ আগস্ট রবিবার একবালপুর হাসপাতালে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, পেটে গলব্লাডারে পাথর থাকার কারণে আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলা রোগীর অস্ত্রোপচার হয় গত রবিবার। এর পর যথারীতি তাঁকে বেডে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর ঘুমের ভাব ও ওষুধের ঘোর না কাটার কারণে তাঁকে অবচেতন অবস্থায় শুইয়ে রাখা হয় চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে। সেই সময় তাঁর পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন না বলেই জানা গিয়েছে। তাঁর স্বামীও বাইরে বেরিয়ে ছিলেন সেই সময়। অভিযোগ, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এবং ওই মহিলার অসহায়তার সুযোগ অভিযুক্ত গ্রুপ-ডি কর্মী নানা ভাবে তাঁকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেন এবং তাঁর গায়ে হাত দেন বলে অভিযোগ। একই অভিযোগ জানিয়েছেন অসুস্থ গৃহবধূর স্বামীরও। এর পর জানাজানি হতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁর স্বামী সেখানে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে একবালপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের পর প্রায় অচেতন অবস্থায় থাকা ওই রোগিণীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ওই বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযোগ উঠেছে, রোগিণীকে ওটি কেবিন থেকে স্থানান্তরের সময় হাসপাতালেরই এক কর্মী তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তার স্বামী।
রোগিণীর পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে, তদন্তে নামে পুলিশ। রোগিণীর বয়ান রেকর্ড ও হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সোমবার রাতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) ধারা ৭৫(২) অনুযায়ী অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে একবালপুর থানার পুলিশ।
বুধবার অভিযুক্তকে আদালতে পেশ করে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে। তদন্ত করছে পুলিশ।
গত এপ্রিলে গুরুগ্রামের একটি হাসপাতালে বাঙালি বিমানসেবিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল হাসপাতালেরই টেকনিশিয়ানের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা, পেশায় বিমানসেবিকা নির্যাতিতা গুরুগ্রামে এসছিলেন একটি ওয়ার্কশপে যোগ দিতে। গত ৫ এপ্রিল হোটেলের সুইমিং পুলে স্নান করার সময় অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই তিনি অভিযোগ করেন ৬ এপ্রিল ভেন্টিলেশনে থাকার সময় তাঁকে যৌন হেনস্থা করা হয়েছে। এফআইরের বর্ণনা অনুযায়ী, শারীরিক দুর্বলতার কারণে তিনি কথা বলা বা বাধা দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। সেই সময় কেবিনে আরও দু'জন নার্স উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তাঁরা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। অভিযোগ পাওয়ার পরেই সিট গঠন করে গুরুগ্রাম পুলিশ। এরপরেই তদন্তকারী দল হাসপাতাল চত্বরের সব সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৫০ জনেরও বেশি হাসপাতালকর্মীকে। এরপরেই খোঁজ মেলে অভিযুক্তের।