আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতার পার্ক সার্কাস বন্ডেল গেটের কাছে বিধ্বংসী আগুন। আগুন লেগেছে একটি ওষুধের কারখানায় বলে খবর। ঘটনাস্থলে এই মুহূর্তে পাঁচটি ইঞ্জিন। আগুনের ভয়াবহতার কারণে আরও ইঞ্জিন আসছে বলে দমকল সূত্রে খবর। ভয়াবহতার কারণে জায়গাটি ঘিরে ফেলেছে দমকল বাহিনী ও স্থানীয় পুলিশ। কিভাবে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখছে দমকল বাহিনী। তবে এখনো কোনও হতাহতের খবর নেই। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান কোন শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ আচমকা বন্ডেল গেটের সামনে এই ওষুধের কারখানায় আগুন লেগে যায়। জানা গিয়েছে, ওই কারখানায় প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক মজুত ছিল। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে গোটা কারখানা। খবর পেয়ে দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত আগুনের উৎসস্থলেও পৌঁছতে পারেননি দমকলকর্মীরা।
ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত এলাকাবাসীরা। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, ওই কারখানা প্রায় ৭৫ বছরের পুরনো। সেখানেই শনিবার বিকেলে আচমকা আগুন লেগে যায়। গলগল করে কালো ধোঁয়া বেরোতে থাকে। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। ইতিমধ্যে অনেকের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানাটিতে রিপেয়ারিংয়ের কাজ চলছে। আজ, শনিবার ওয়েলডিংয়ের কাজও হচ্ছিল। সেই থেকে আগুন ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান। ভিতরে কেউ আটকে আছেন কি না, দেখা হচ্ছে সেটাও। ওই বিল্ডিংয়ে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, “ওয়েলিডংয়ের কাজ চলছে। আমরা ছেলেটিকে এখন কাজ করতে বারণ করে, নিচে নেমে আসি। তারপরই আগুন লাগে। জানি না কী হয়েছে।” তবে এখনও অবধি কারও হতাহতের খবর মেলেনি।
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই বাইপাসের ধারে একটি প্লাস্টিক গোডাউনে ভয়াবহ আগুন লাগে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই একাধিক ঝুপড়ি। ইএম বাইপাসের ধারে একটি পাঁচতারা হোটেলের পিছন দিকে থাকা প্লাস্টিক গোডাউনে আগুন লাগে। ভিতরে প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় মুহূর্তে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। একাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছেন কর্মীরা। ঘটনায় কোনও হাতহতের খবর ছিল না। ইলেকট্রিক মিটার থেকে আগুন লাগে। তা অল্প সময়ের মধ্যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বিশাল এলাকাজুড়ে প্লাস্টিক রাখা ছিল এলাকায়। আশেপাশে অনেক ঝুপড়ি ছিল। আগুনের লেলিহান শিখা আরও ছড়িয়ে পড়লে বড় বিপদের আশঙ্কা করছিলেন স্থানীয়রা। তাঁরাও দমকলকর্মীদের সঙ্গে আগুন নেভানোর কাজ করেন।