টেবিলের উপর দিব্যি খেলছিল খুদে, খাস কলকাতায় আচমকা মায়ের চোখের সামনেই ঘটে গেল সেই ভয়াবহ ঘটনা, জানলে শিউরে উঠবেন
আজকাল | ০৯ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ছোট্ট ফুটফুটে শিশু। অন্যান্য দিনের মতোই দিব্যি হাসছিল, খেলছিল। সামনে বাড়ির সকলেই। তখনও কেউ ঘূণাক্ষরেও ভাবতেই পারেনি পরের মুহূর্তেই ঘটতে চলেছে ভয়াবহ সেই ঘটনা। যাতে এক লহমায় বদলে যেতে পারে গোটা ঘরের পরিস্থিতি। খাস কলকাতার ঘটনা সামনে আসতেই চোখে জল পাড়া পড়শিদের। কেউ মেনে নিতে পারছেন না, এরকম ঘটনা ঘটে গিয়েছে, নিজের ঘরের ভিতরেই। ঘরে-বাইরে কান্নার রোল।
ঘটনাস্থল গিরিশ পার্ক এলাকা। যেখানে মাত্র ১ বছর ১০ মাসের এক শিশুকন্যা প্রানসী সরাফের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। উত্তর কলকাতার মদন চট্টোপাধ্যায় লেনের একটি বহুতল আবাসনের ৯তলায় তারা থাকত। সেখানেই ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধে নাগাদ।
পুলিশ সূত্রের খবর, শহর কলকাতার গিরিশ পার্কের ছোট্ট প্রানসী সরাফ, পিতা বিশাল সরাফ, ১০এ, মদন চট্টোপাধ্যায় লেন, গিরিশ পার্ক থানা এলাকায় এক বহুতল আবাসনের বাসিন্দা। ৩০ জুলাই সন্ধে ৬টা ৩০ মিনিট নাগাদ প্রানসী তাদের আবাসনের ফ্ল্যাটের কমন রুমে থাকা ডাইনিং টেবিলের উপর খেলছিল। ঘটনাস্থলে সেই মুহূর্তে তার সামনে মা-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। সকলের চোখের সামনেই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। কিছু বোঝার আগেই সব শেষ।
জানা গিয়েছে, খেলতে খেলতেই হঠাৎ করেই খুদে টেবিল থেকে নীচে পড়ে যায় এবং সঙ্গে সঙ্গে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে শিশুটি। এরপর তড়িঘড়ি করে শিশুটিকে ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। সন্ধে ৭টা নাগাদ কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে গিরিশ পার্ক থানার পক্ষ থেকে একটি প্রাথমিক তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে এবং স্থানীয় বাসিন্দা ও মৃতার আত্মীয়স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে ঘটনা প্রসঙ্গে। অর্থাৎ কীভাবে ঘটে গিয়েছে এই মর্মান্তিক ঘটনা? পরিবারের সদস্যরা কে কোথায় ছিলেন?
লালবাজার পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও অপরাধ বা অসৎ উদ্দেশ্যের প্রমাণ মেলেনি এবং পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার প্রেক্ষিতে গিরিশ পার্ক থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে, নং ২৩৬৪ এবং অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা নম্বর ১৭ হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছে। শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।