দার্জিলিং যাবেন, খুব সাবধান, কোন কোন রাস্তা বন্ধ জেনে নিন এখনই
আজকাল | ০৯ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার অবধি বন্ধ থাকবে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। ভূমিধসের জন্য। যদিও মেরামতির কাজ শুরু হলেও পাহাড়–সমতলে ভারী বর্ষণের সতর্কতা মিলতে ফের বিপর্যয়ের শঙ্কা বেড়েছে। তিস্তা ক্রমশ এগিয়ে আসছে। রাস্তায় ক্রমে ফাটল ধরেছে।
এটা ঘটনা, করোনেশন সেতু থেকে চিত্রে পর্যন্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে বুধবার পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে জাতীয় সড়ক ও পরিকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচআইডিসিএল)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিকিমের রংপো থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত জাতীয় সড়ক শ্বেতিঝোরায় ভূমিধসে অবরুদ্ধ হয়েছে। রংপো থেকে মুনসং–লাভা–গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা কাটারার কাছে ভূমিধসে অবরুদ্ধ হয়েছে। সেই ধস সরানো এবং সড়ক মেরামতের কাজ চলছে। নিরাপত্তার জন্য ওই সড়কের ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এনএইচআইডিসিএল পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের জেলা প্রশাসনকে নজরদারি বাড়াতে অনুরোধ করেছে।
রবিবার রাত ৮টা থেকে ওই নির্দেশ কার্যকর হয়েছে। বুধবার সন্ধে ৬টা পর্যন্ত সেটা বহাল থাকবে। ওই নির্দেশের পর গ্যাংটক থেকে শিলিগুড়ির মধ্যে চলাচলকারী যানবাহনগুলিকে লাভা এবং গরুবাথান এবং অন্যান্য বিকল্প পথ দিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মামখোলা, ঋষিখোলা, তারখোলা–সহ একাধিক জায়গায় ভূমিধস নামে। রবিবার সকালে কাতারে ও ঋষিখোলায় নতুন করে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। ঋষিখোলার রাস্তায় বিপজ্জনক বিরাট ফাটল দেখা দিয়েছে৷ শ্বেতিঝোরায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে তিস্তায় নেমেছে। কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার শ্রীহরি পাণ্ডে জানান, ধস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। শ্বেতিঝোরায় জাতীয় সড়কের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ভারী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ধস সরিয়ে একমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সিকিমগামী সমস্ত যানবাহন বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, শ্রাবণের শেষভাগেও চরম দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বাংলা। চলতি সপ্তাহেও জেলায় জেলায় জারি হল চরম সতর্কতা। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির দাপট কমলেও, এবার উত্তরবঙ্গে শুরু হল প্রবল বৃষ্টির তাণ্ডব। একটানা সাতদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ফলে ধস নামার সম্ভাবনাও রয়েছে। বাড়বে নদীর জলস্তর। আগেভাগেই সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আবারও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যার জন্য আগেভাগেই সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
সোমবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় আজ হলুদ সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আগামিকাল, মঙ্গলবার ফের একাধিক জেলায় একনাগাড়ে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা।
চলতি সপ্তাহের মাঝামাঝি সময়ে আবারও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, ও নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। জারি রয়েছে হলুদ সর্তকতা।