জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক বছর পার। আরজি কর কাণ্ডে বর্ষপূর্তিতে যখন নবান্নে অভিযানে বিধিনিষেধ, তখন 'কালীঘাট চলো' কর্মসূচিতে হস্তক্ষেপই করল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, 'কেউ আইন অমান্য করলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে পুলিশ'।
রাত পোহালেই আরজি কর কাণ্ডে বর্ষপূর্তি। স্রেফ নবান্ন অভিযানই নয়, আগামীকাল শনিবার 'কালীঘাট চলো'র ডাক দিয়েছে অভয়া মঞ্চ। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতা ও লাগোয়া চার জেলা থেকে মানুষ অংশ নেবেন মিছিলে। এরপর হাজরা মোড়ে জমায়েত করে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রতিবাদীরা। পুলিস অবশ্য় এই কর্মসূচি অনুমতি দেয়নি।
এদিকে 'কালীঘাট চলো' কর্মসূচির বিরোধিতা করে হাইকোর্টে মামলা করেছিল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রোড এবং হাজরা রোড ব্যবসায়ী সমিতির। আজ, শুক্রবার সেই মামলাটির শুনানি হল বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।
একইদিনে আবার নবান্নও অভিযান। তবে কারা ডাক দিয়েছেন? তা স্পষ্ট নয়। এদিন হাইকোর্টে শুনানিতে 'নবান্ন অভিযানের কথা সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন পোস্টার থেকে জানতে পেরেছি। কিন্তু কারা নবান্ন অভিযানে ডাক দিয়েছেন? মিছিলের দায়িত্ব কেউ নিচ্ছে না। তাহলে বিশৃঙ্খলা হলে দায় কে নেবে'? হাইকোর্ট অবশ্য নবান্ন অভিযান বন্ধের নির্দেশ দেয়নি। বিচারপতি সুজয় পাল বলেন, 'প্রতিবাদ করার অধিকার মৌলিক অধিকার। তবে রাজ্যের কাছে তাদের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা পথ খোলা আছে। আয়োজকদের বিকল্প জায়গা জানাবে পুলিস। সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি করা যাবে না। পুলিসকে আক্রমণ করা যাবে না'।