রাজারহাটে বন্ধ ঘরে মা-স্ত্রীর দেহ, স্বামী আশঙ্কাজনক, পাওনাদারদের চাপ? ট্যাংরা-স্মৃতি
আজ তক | ০৮ আগস্ট ২০২৫
ট্যাংরার ঘটনার ছায়া এবার রাজারহাটে। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হল ২ মহিলার নিথর দেহ। ১ ব্যক্তিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন একই পরিবারের এই তিন সদস্য। স্ত্রী মহুয়া দে ও মা শিপ্রা রক্ষিতের মৃত্যু হলেও বারতজোরে প্রাণে বেঁচেছেন সঞ্জয় দে। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে রাজারহাটের নারায়ণপুর দেবীপার্ক এলাকায়। ভিতর থেকে বন্ধ ছিল ওই বাড়িটির দরজা। বহু ডাকাডাকি করেও প্রতিবেশীরা কোনও সাড়া পাননি। খবর দেওয়া হয় পুলিশ। দরজা ভাঙতেই দেখা যায় এই দৃশ্য।
জানা গিয়েছে, আর্থিক অনটনে জর্জরিত ছিল এই পরিবারটি। ঋণে ডুবে ছিলেন সঞ্জয় দে। ফলে বাড়ি-গাড়ি বিক্রি করতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর তাঁরা ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠেন। তা সত্ত্বেও প্রায়দিনই পাওনাদার এসে হাজির হত বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ৩ জনই ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলেন। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোটও।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একসময় বিপুল সম্পতির মালিক ছিলেন বছর ৫৫-র সঞ্জয় দে। তবে সবটাই পারিবারিক সূত্রে। কোনও কাজ করতেন না তিনি। ধীরে ধীরে ঋণে ডুবে যান এবং সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করতে শুরু করেন। বাড়ি বিক্রি করে ভাড়া বাড়িতে উঠতে হয় মা ও স্ত্রীকে নিয়ে। পাশাপাশি নিঃসন্তান হওয়ায় মানসিক অবসাদেও ভুগতে শুরু করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আর্থিক অনটনের কারণেই আত্মহত্যা, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।