এবার পুজোয় কি পাতে পড়বে না 'উত্তরের ইলিশ' বোরলি? সরকারি সিদ্ধান্তে সংশয়
আজ তক | ০৮ আগস্ট ২০২৫
Boroli Fishing Restriction: বর্ষাকালে বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের মাছ ইলিশ অক্টোবরে প্রতি বছর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এটা ইলিশের প্রজননের মরশুম বলে চিহ্নিত থাকে। যাতে মাছের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত হয়। একইভাবে উত্তরবঙ্গের প্রিয় মাছ বোরলিরও অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রজনন মরশুম বলে চিহ্নিত। ফলে এই মাছটিও সংরক্ষণ ও বংশবৃদ্ধির জন্য ধরা বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
মৎস্য দফতরও তিস্তা নদী সহ অন্যান্য নদিয়ালী মাছের বংশরক্ষা ও বৃদ্ধির জন্য অক্টোবর মাস পর্যন্ত ছোট মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দফতরের জলপাইগুড়ি জেলা কার্যালয়ের তরফে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছেয এই সময়ে মাছের প্রজনন হয় এবং এই সময়ে ছোট মাছ, পেটে ডিম থাকা মতো মাছ ধরার ফলে মাছের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে।
দফতররের দাবি, মৎস্যজীবীরা ছোট জাল, চিনা জাল, ফাঁস জাল ও মশারির নেটসহ ব্যাটারি চালিত বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম দিয়ে মাছ ধরছেন, যা নদীয়ালি মাছের বংশবৃদ্ধির জন্য ক্ষতিকর। নিষেধাজ্ঞা না মানলে জেল এবং জরিমানা করা হবে। মাছ ধরায় এই নিয়ম কঠোর হলে ভবিষ্যতে মাছের প্রাচুর্য ফিরে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে ইলিশ মাছের ক্ষেত্রে সাধারণত অক্টোবর মাসের আশ্বিন পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়ে থাকে, যেমন ২০২৩ সালে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত। এই সময় মাছ ধরা, পরিবহণ, ক্রয়-বিক্রয় ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকে। যাতে স্ত্রী-ইলিশ নিরাপদে প্রজনন করতে পারে। এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত খোকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ থাকে, যাতে ছোট ইলিশ বড় হতে পারে। সামুদ্রিক জলসীমায় এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৫৮ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চালু থাকে, যা একই উদ্দেশ্যে।