দুবরাজপুরে হিংলো নদীর পাড় ভাঙছে সরানো হল তিন পরিবারকে, উৎকণ্ঠায় বাসিন্দারা
বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: জলস্ফীতির জেরে হিংলো নদীর দু’ধারে এখনও ভাঙন জারি রয়েছে। ক্রমেই জনবসতিপূর্ণ এলাকার দিকে এগিয়ে আসছে নদী। তার জেরে দুবরাজপুর ব্লকের পলাশডাঙার দু’টি বাড়ি ইতিমধ্যেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ঘরের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিপদ এড়াতে স্থানীয় ব্লক প্রশাসনের তরফে দু’টি পরিবারকে ত্রাণশিবিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সেইসঙ্গে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের রাতে বাড়িতে না থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা যথেষ্ট উদ্বেগে রয়েছেন। ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় প্রহর গুনছেন সকলেই। বৃহস্পতিবার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ায় স্থানীয় অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে গোটা এলাকাজুড়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে।
এবিষয়ে বিডিও রাজা আদক বলেন, একাধিক পরিবারকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক করা হচ্ছে। সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
বৃষ্টির পাশাপাশি হিংলো ড্যাম থেকে অনবরত জল ছাড়ার ফলে নদীতে জলস্ফীতি হওয়ায় ভাঙন শুরু হয়েছে। তারজেরে জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে পলাশডাঙা এলাকার একটি বাড়ি পুরোপুরিভাবে হিংলো নদীর গর্ভে তলিয়ে যায়। সেই বাড়িতে বসবাসকারী পরিবারটিও এখন কার্যত ভিটেমাটিহীন হয়ে পড়েছে। মূলত তখন থেকেই ব্লক প্রশাসনের তরফে ওই এলাকায় কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবে, প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে ভাঙন রোধে তেমন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। এই পরিস্থিতিতে হিংলো নদী আপন গতিতে ছুটতে গিয়ে দু’ধারে মাটি ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ফলত, এই ভাঙনের জেরে এবার পলাশডাঙার প্রায় ৪০টি পরিবার উদ্বেগে রয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, এভাবে ভাঙন জারি থাকলে খুব শীঘ্রই একাধিক বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই দু’টি বাড়ি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। দেওয়ালে ফাটল স্পষ্ট। ঘরের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে।
সবমিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই তিনটি পরিবার বর্তমানে স্থানীয় পলাশডাঙা জুনিয়র হাইস্কুলে ঠাঁই পেয়েছে। ব্লক প্রশাসনের তরফে তাঁদের খাওয়া-দাওয়া সহ ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, লোবা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রত্যেকের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ তুলে দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে। অঞ্চল সভাপতি পিনাকী চক্রবর্তী বলেন, ভাঙনের জেরে ওই এলাকার একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেইসঙ্গে এদিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে খাদ্য সামগ্রী সহ নগদ অর্থ তুলে দিয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দা অর্জুন আকুড়ে বলেন, ঘরের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। ভাঙনের জেরে ঘরের নীচ থেকে মাটি সরে গিয়েছে। তার জেরেই দেওয়ালে ফাটল ধরেছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে