বন ও বন্যপ্রাণী বাঁচাতে মানকরে খুদে পড়ুয়াদের সচেতনতার পাঠ বনদপ্তরের
বর্তমান | ০৮ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, মানকর: বৃহস্পতিবার মানকর বয়েজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বনদপ্তরের পানাগড় রেঞ্জের পক্ষ থেকে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হল। এদিন এলাকার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা অংশ নেয়। গাছ না কাটা, বনে আগুন না ধরানো, কাঠবিড়ালি সহ বিভিন্ন প্রাণীদের হত্যা না করার বার্তা দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানকর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ডালিয়া লাহা, দুর্গাপুরের রেঞ্জার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
বনদপ্তরের বর্ধমান ডিভিশনের মধ্যে রয়েছে বিশাল কাঁকসা বনাঞ্চল। কাঁকসা ছাড়াও আউশগ্রামের জঙ্গলও এই ডিভিশনের মধ্যে রয়েছে। এই দুই অঞ্চলে জঙ্গলের পরিমাণ ১৫ হাজার হেক্টরের বেশি। জঙ্গলে গাছ ও পশু-পাখি চোরা শিকারি রুখতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। লোকালয়ে যাতে গাছ কাটা, পাখি মারা প্রভৃতি বিষয়গুলি না ঘটে, সেজন্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সচেতন করা হচ্ছে। এদিন প্রথমে বিদ্যালয় থেকে মানকর হাটতলা পর্যন্ত র্যালি করে পড়ুয়ারা। র্যালি থেকে ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’, ‘সবুজ বাঁচাও, সবুজ দেখাও, সবুজের সাথে বিবেক জাগাও’ প্রভৃতি বার্তা দেওয়া হয়। বনদপ্তরের আধিকারিকরা ছাড়াও বক্তব্য রাখেন শিক্ষকরা। আদুরিয়া বিটের আধিকারিক পিনাকী ভট্টাচার্য চক-ডাস্টার নিয়ে সূর্য, পৃথিবী এঁকে পড়ুয়াদের উষ্ণায়ন, গাছের সঙ্গে পৃথিবীর সম্পর্ক বোঝান।
শিবিরে উপস্থিত পড়ুয়া ইন্দিরা মাঝি, চাঁদনি খাতুনরা বলে, আমরা শিখলাম গাছ লাগাতে হবে। পাড়ায় কেউ কোনও পশু যেমন কাঠবিড়ালি, বককে মারতে এলে আমরা বলবো, মারবেন না। এখানে যা শিখলাম বাড়িতে গিয়ে সবাইকে বলব। খাণ্ডারি বিট অফিসার সুজন মণ্ডল জানান, আগেও এই ধরনের শিবির হয়েছে। তবে এতগুলি বিদ্যালয় নিয়ে এই প্রথম হল। আশা করছি সার্থক হবে। সুদীপবাবু বলেন, কচিকাঁচাদের নিয়ে সচেতনতা শিবির হয়েছে। ছোট প্রাণীদের অনেক সময় মারতে দেখা যায়। তা থেকে মানুষকে যাতে বিরত রাখা যায়, সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের মাধ্যমে তা এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে। তিনি জানান, এই ধরনের শিবির আরও বড় আকারে করা হবে।-নিজস্ব চিত্র