• ‘বাংলা বলতেই থানায় নিয়ে গিয়ে মার’, হরিয়ানা থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে আসেন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক
    এই সময় | ০৭ আগস্ট ২০২৫
  • ফের ভিনরাজ্যে বাঙালি শ্রমিককে বাংলায় কথা বলায় মারধরের অভিযোগ সেই রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। ভয়ে একপ্রকার পালিয়ে বাড়ি ফিরলেন। অন্তত এমনই দাবি। বাংলায় কথা বলায় বাঙালি শ্রমিককে হরিয়ানায় মারধরের অভিযোগ। কোনওক্রমে উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ি ফিরলেন তাঁরা। গোপালনগর থানার দিঘারী গ্রামপঞ্চায়েতের কনকপুরের বাসিন্দা সাধন দাস বছর চারেক আগে কর্মসূত্রে হরিয়ানার গুরুগ্রামে গিয়েছিলেন। পরে পরিবারকেও সেখানে নিয়ে যান। দেড় বছর আগে যায় ছেলে।

    সাধন দাস জানান, কয়েক দিন আগে আচমকা হরিয়ানা পুলিশ তাঁকে কোনও কারণ ছাড়াই রাস্তায় দাঁড় করিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সাধন ভালো হিন্দি বলতে পারেন না। তাই বাংলাতেই কথা বলেন তিনি। অভিযোগ, এর পরেই তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়।

    সাধনের অভিযোগ, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, প্যান কার্ড, যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, তারও কাগজপত্র দেখান। তবুও বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী তাঁর মোবাইল ফোনটি ভেঙে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। বলা হয়, হরিয়ানা ছেড়ে চলে যেতে।

    তাঁর ভাড়া বাড়িতেও বেশ কয়েক বার পুলিশ হানা দেয়। এর পরেই ছেলে ও বৌমাকে নিয়ে কোনওক্রমে পালিয়ে আসেন রাজ্যে। হরিয়ানা পুলিশের মারে এতটাই আহত, ঠিক করে কথাও বলতে পারছেন না।

    বৃহস্পতিবার সকালে বনগাঁ সাংঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের বাড়িতে যান এবং সমস্ত ঘটনা জানান। পরে বিশ্বজিৎ রায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘বিজেপি এখন বাঙালি নিধনে নেমেছে। ওরা বাঙালি বিদ্বেষী। পশ্চিমবঙ্গেও ভিন রাজ্য থেকে এসে অনেকেই কাজ করেন। কিন্তু আমরা কোনও দিনও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করি না।’

  • Link to this news (এই সময়)