OBC কাঁটা! জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করতে পারবে না রাজ্য, জানাল হাই কোর্ট
প্রতিদিন | ০৭ আগস্ট ২০২৫
গোবিন্দ রায়: জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করতে পারবে না রাজ্য, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের। লিখিত পরীক্ষার ফলপ্রকাশে আপত্তি আদালতের। ওবিসি এ ও বি অনুযায়ী মেধাতালিকা তৈরি করেছে রাজ্য, যা প্রকাশ করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। গত ২২ মে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী ওবিসি তালিকা (৬৬ শতাংশ সংরক্ষণ) মেনে মেধাতালিকা তৈরি করে প্রকাশের নির্দেশ বিচারপতি কৌশিক চন্দের। বৃহস্পতিবার বেলা দু’টোয় এই প্রসঙ্গে রায় দেবেন বিচারপতি। কত দিনের মধ্যে রাজ্যকে সেই তালিকা তৈরি করতে হবে, তা-ও জানানো হবে ওই রায়ে।
বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, “শীর্ষ আদালত একটি নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানতে চায় রাজ্য কী করছে? শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রভাব কী পড়বে?” রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা আজই জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করব। ২০২৫-এর ভর্তি পরে হোক অসুবিধা নেই। শীর্ষ আদালতের সে নির্দেশ আছে এক্ষেত্রে।” বিচারপতির প্রশ্ন, “সেক্ষেত্রে ওবিসি এ ও বি কী যুক্ত হবে?” উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী জানান, “হ্যাঁ, হবে। যাদের সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছিল তারা পোর্টালে আবেদন করবেন ফিনান্সিয়াল স্ট্যাটাস জমা দিতে হবে।”
বিচারপতি বলেন, “পেন্ডিং অ্যাডমিশনে কীভাবে এই নোটিফিকেশন কাজে লাগাতে পারেন? দুই ক্যটেগরি যুক্ত করলে ফলপ্রকাশ করতে দেব না। কারণ, শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায় খারিজ করে দেননি। পুরনো ভর্তির ক্ষেত্রে ৭% সংরক্ষণ মানতে হবে। আমার নির্দেশ শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়নি সেটা রাজ্য পালন করেনি। সচিবরা তা শুনতে অভ্যস্ত। আদালতের কথা শোনে না।” রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, “আপনারা ১ হাজার ১৫১টি সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে। ১ অগাস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ৯৯৯ সার্টিফিকেট ইস্যু হয়েছে। সব হয়ে গেল? খতিয়ে দেখলেন একজন আবেদন করল আর সাত দিনেই হাতে দিয়ে দিলেন? খুব অ্যাকটিভ তো?” সওয়াল জবাব শোনার পর জয়েন্টের ফলপ্রকাশ করা যাবে না বলেই জানান বিচারপতি।
চলতি বছর গত ২৭ এপ্রিল রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং, ফার্মেসি কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা হয়েছিল। তিনমাস কেটে গেলেও ফলপ্রকাশ না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন পরীক্ষার্থীরা। কেউ কেউ আর অপেক্ষা না করে অন্যত্র ভর্তিও হয়েছেন। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সংরক্ষণ সংক্রান্ত জট কেটে যাওয়ায় ফলপ্রকাশে তৎপর হয় বোর্ড। জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ৭ আগস্ট প্রকাশিত হবে। তবে বোর্ড সূত্রে আগেই ফলপ্রকাশ নিয়ে জটিলতার সম্ভাবনার কথা কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল। সেই জল্পনাতেই নাকি সিলমোহর দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ।