• কৃষিজ শিল্প নিয়ে বড় উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ আগস্ট ২০২৫
  • রাজ্যে চাহিদার তুলনায় উৎপাদিত ফসলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় কৃষকদের অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। সেই কারণে কৃষকদের উদ্বৃত্ত ফসলকে ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কৃষিজ শিল্পে রূপান্তরিত করার অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। এই বিষয়ে বুধবার হুগলির জেলাশাসকের দপ্তরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। এই বৈঠকে উপস্থিত সব কৃষককে আবেদন জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন তাঁদের উদ্বৃত্ত ফসল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে শিল্পে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়।

    এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রী অরুপ রায়, রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, জেলাশাসক মুক্তা আর্য্য, প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার সিং মিনা, সাংসদ মিতালী বাগ, জেলা সভাধিপতি রঞ্জন ধারা প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার কৃষক ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীরা। এদিন ওঙ্কার সিং জানান, আলু চাষের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ অনেক এগিয়ে। এ রাজ্যে আলুর বীজ উৎপাদন সম্ভব। তিনি সব কৃষককে বীজ উৎপাদনের জন্য উৎসাহ দেন। এই কাজ করতে রাজ্যের কৃষি বিজ্ঞানীরা সহায়তা করবেন। পাশাপাশি প্রক্রিয়াকরণেও রাজ্য সরকার সাহায্য করবে বলে জানান।

    কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না বৈঠকে জানিয়েছেন, উদ্বৃত্ত আলু, ভুট্টা বা টমেটো ইত্যাদি প্রক্রিয়াকরণ করলে কৃষকরা অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য ফসলের বিক্রির পরেও উদ্বৃত্ত ফসলের প্রক্রিয়াকরণের উপর জোর দিতে হবে। ভুট্টা, আলু, টমেটো, আম, কলা, পেঁপে ইত্যাদি ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গে বড় শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। যেমন, আলু ব্যবহার করে চিপস ও টমেটো ব্যবহার করে সস তৈরি করা যেতে পারে। আবার ভুট্টা থেকে তৈরি হতে পারে কংফ্লেক্স। এই শিল্পের ক্ষেত্রে ভর্তুকির ব্যবস্থাও করেছে রাজ্য।

    মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কৃষিকে শিল্পে রূপান্তরিত করাই মূল লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। তার জন্য সব রকমভাবে সহায়তা করা হবে। এ বিষয়ে মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কৃষকরা বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারবে। সেই রাস্তাই দেখাচ্ছে রাজ্য। পাশাপাশি কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)