ট্যাংরায় একই পরিবারের দুই মহিলা এবং এক কিশোরীর খুনের ঘটনায় শোরগোল পড়েছিল রাজ্যজুড়ে। ৭ অগস্ট, বৃহস্পতিবার সেই ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্ত প্রণয় ও প্রসূন দে-র বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে চার্জ গঠন করল শিয়ালদহ আদালত। এ দিন দুই অভিযুক্তের উপস্থিতিতে আদালতে চার্জ গঠন হয়। মামলার পরবর্তী শুনানি হতে পারে ৬ সেপ্টেম্বর।
চলতি বছরে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে ই এম বাইপাসের অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর ৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা মেরেছিল প্রণয় ও প্রসূনের গাড়ি। সেই গাড়ি থেকেই আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছিল প্রণয়ের ছেলে। তাঁদের বসত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রণয়ের স্ত্রী সুদেষ্ণা দে, প্রসূনের স্ত্রী রোমি দে এবং প্রসূনের ১৪ বছরের মেয়ের দেহ।
ট্যাংরার ২১/সি, অতুল সুর রোডের বাড়িতেই থাকত দে পরিবার। সম্পন্ন ব্যবসায়ী পরিবার হিসেবে পরিচিত ছিল তারা। কিন্তু সম্প্রতি পারিবারিক ব্যবসায় ভাটা এসেছিল। বাজারে বিপুল পরিমাণ ধারও করেছিলেন প্রণয় ও প্রসূন। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, আর্থিক সঙ্কটের জন্যই বাড়ির বড় বৌ সুদেষ্ণা দে, ছোট বৌ রোমি দে এবং রোমির কিশোরী কন্যাকে খুন এবং খুনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল প্রণয় ও প্রসূন। পরিবারের অন্য সদস্যদের খুন করার পরে আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি।
ওই নাবালক পুলিশকে জানিয়েছিল, তার উপরেও প্রাণঘাতী হামলা করেন কাকা প্রসূন। কিন্তু কোনও মতে সে প্রাণে বেঁচে যায়। কাকা প্রসূন তার হাতের শিরা কাটার চেষ্টা করেছিল বলেও দাবি করে সে।