ভোটার তালিকায় ‘কারচুপি’-র অভিযোগে সম্প্রতি রাজ্যের দুই ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও) এবং দুই অ্যাসিস্ট্যান্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (এআরও)-কে সাসপেন্ড করার সুপারিশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে নবান্নেও। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবারই স্পষ্ট জানিয়েছেন, কাউকে শাস্তি দেওয়া হবে না। এ বার এই নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর বাসভবনে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের নেতৃত্বরা নৈশভোজে একত্রিত হবেন। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছে। মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট জারির পরেই কমিশনের দায়িত্ব, ক্ষমতা কার্যকর হয়। সেই সময়ে কমিশন রাজ্যের সিভিল এবং পুলিশ প্রশাসন হাতে নিয়ে নিজেদের মতো পরিচালনা করে, যাতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়। কিন্তু এখন কমিশন এক-দেড় বছর আগে থেকে নির্বাচিত সরকারকে কাজ করতে দেবে না বলে সক্রিয়।’
বিজেপিকে বাড়তি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করছে কমিশন, অভিযোগ অভিষেকের। তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার প্রকৃত বাঙালিরা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে সেই চেষ্টা চলছে। নির্বাচন কমিশন নির্লজ্জ ভূমিকায় নেমেছে। এখন কমিশনের এক্তিয়ারে এই সব বিষয় নেই। তারা সরকারকে জানাতে পারে। যে সরকারকে ১২ কোটি মানুষ নির্বাচিত করেছে, তারা মানুষের কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’ রাজ্যের মানুষ ছাড়া সরকার আর কারও কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য নয় বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনে ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম বাদ পড়েছে। এর পরে বাংলার ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটতে পারে কমিশন। এই নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। SIR-এর মাধ্যমে এনআরসি-র পথ মসৃণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
এ দিন অভিষেক বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে মনে রাখতে হবে, তারা একটি নিরপেক্ষ সংগঠন এবং ভারতের সংবিধান মেনে তাদের কাজ করতে হবে। গতকালই দেখলাম ট্রাম্পের নামে একটি রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট জারি হয়েছে।’ তাঁর কটাক্ষ, ‘যখন বিহার নির্বাচনে ট্রাম্প ভোট দিতে আসবেন, সেই সময়ে তাঁকে প্রশ্ন করা যেতে পারে যে তিনি কেন ৫০ শতাংশ ট্যারিফ বসিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বিহারের সমস্তিপুরে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চলাচলীন ট্রাম্পের নামে এই আবেদনের বিষয়টি সামনে আসে।