এই সময়, কীর্ণাহার: খুচরোর সমস্যা এড়াতে কিছুদিন আগেই বীরভূম জেলার মধ্যে প্রথম বোলপুরের একটি বেসরকারি বাসে কিউআর কোডে ভাড়া নেওয়া শুরু হয়। এ বার যাত্রী সুরক্ষায় জেলায় প্রথম একটি বেসরকারি বাসে লাগানো হলো সিসিটিভি ক্যামেরা। স্বস্তি পেয়েছেন বাসযাত্রীরা।
প্রশাসন এবং বাসমালিক সমিতি সূত্রে খবর, মাঝেমধ্যেই বাসে পকেটমারি, চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। অনভিপ্রেত ঘটনার শিকার হন মহিলারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা ধরা–ছোঁয়ার বাইরে চলে যায়। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোয় সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলায় বর্তমানে বাস, মিনিবাসের সংখ্যা প্রায় ১৬০০টি। সব বাসের কর্মী এবং মালিকরা একই ধরনের তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি জেলায় প্রথম ‘বসন্ত’ নামে একটি বাসে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এই বাসটি দুর্গাপুরের বেনাচিতি থেকে পূর্ব বর্ধমানের উদ্ধারণপুর পর্যন্ত চলাচল করে। সেই বাসের কেবিনের সামনে লাগানো হয়েছে ক্যামেরাটি।
বাসমালিক মোবাইলে সেই ভিডিয়ো ট্র্যাক করতে পারবেন। বাসচালক মহম্মদ ইয়াসিন এবং কন্ডাক্টর তরুণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ভিড় বাসে কোনও অঘটন হলে আমরা ক্ষোভের মুখ পড়ি। ক্যামেরা লাগানোর পরে এরকম ঘটেনি।’ রুটের নিত্যযাত্রী নানুরের সাকিলা পারভিন, বোলপুরের তাপসী দাসরা জানিয়েছেন, ক্যামেরা লাগানোর পরে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য কমেছে।
বাসমালিক প্রশান্ত মণ্ডলের কথায়, ‘যাত্রীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই ক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিই।’ জেলা বাসমালিক সমিতির সহ–সম্পাদক সুনীলকুমার ঘোষ এবং বীরভূম ডিস্ট্রিক্ট বাস অ্যান্ড মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আব্দুল আজ়িম বলেন, ‘জেলায় এই মুহূর্তে অন্য কোনও বাসে এই পরিষেবা নেই। যাত্রী সুরক্ষায় বাসে এই পরিকল্পনা অভিনব। অন্য বাসেও চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে।’
জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, ‘অত্যন্ত ইতিবাচক পরিকল্পনা। অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্তদের সহজে চিহ্নিত করা যাবে।’