• বিধায়কদের দাবি মেনে সরানো হল দেবদাসকে
    আনন্দবাজার | ০৭ আগস্ট ২০২৫
  • জল্পনাই সত্যিই হল।

    বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল দেবদাস মণ্ডলকে। তাঁর জায়গায় বুধবার নতুন সভাপতি করা হয়েছে বিকাশ ঘোষকে। তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।

    কিছু দিন আগে রাজ্যে বিজেপির ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩৯টি ক্ষেত্রে জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা হয়। বনগাঁ-সহ চারটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতির নাম ঘোষণা বাকি ছিল। বুধবার সেই চারটি জেলার সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

    ৬ মে দলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার অন্তর্গত ৩০টি মণ্ডলের মধ্যে ২৮টি মণ্ডল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার বর্তমান সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের ভবিষ্যৎ নিয়ে দলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়। ২০২৩ সালের অগস্ট মাস থেকে তিনি জেলা সভাপতির পদে ছিলেন। যে ২৮ জন মণ্ডল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের দেবদাসের সময়ে ওই পদে বসানো হয়েছিল।

    বিজেপির একটি সূত্রের খবর, দলের একাংশ চান দেবদাসকে ওই পদ থেকে সরানো হোক। বিশেষ করে সাংগঠনিক জেলায় থাকা বিজেপির বিধায়কেরাও তাই চাইছিলেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বিধায়কের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই দেবদাসকে সরানো হয়েছে।

    দেবদাস শান্তনু-ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। দলীয় সূত্রের খবর বিধায়কেরা যখন দেবদাসকে সরানোর দাবিতে এককাট্টা হয়েছিলেন, তখন শান্তনু নেতৃত্বের কাছে বিকাশের নাম প্রস্তাব করেছিলেন। শান্তনু বলেন, ‘‘সভাপতি পরিবর্তন দলীয় নিয়মের অঙ্গ। সেই মতোই নতুন সভাপতি হয়েছেন বিকাশ।’’ বিকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, ‘‘আমরা পরিবর্তন চেয়েছিলাম, পরিবর্তন হয়েছে।’’

    এ প্রসঙ্গে দেবদাসের প্রতিক্রিয়া, ‘‘নতুন সভাপতিকে কাজ করতে পূর্ণ সহযোগিতা করব। সংগঠনে নতুনেরা তো আসবেনই। তবে তৃণমূলের এতে উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে আমি আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’’

    রদবদল হয়েছে বিজেপির ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলাতেও। জেলা সভাপতির পদ থেকে মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে নতুন দায়িত্ব পেলেন তাপস ঘোষ। আমডাঙার বাসিন্দা তাপস জেলা ও রাজ্যের যুব মোর্চার দায়িত্বও সামলেছেন এক দশক ধরে। বর্তমানে রাজ্যের মূল কমিটিতে ছিলেন। বেসরকারি বহুজাতিক সংস্থার আধিকারিক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কথায় ২০১৪ সালে রাতারাতি চাকরি ছাড়েন দলের সাংগঠনিক কাজে পুরো সময় দেওয়ার জন্য। বর্তমানে তাঁর পেশা ব্যবসা। তাপস বলেন, ‘‘২০০১ সালে বিজেপিতেই আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। কখনও দল বদলাইনি।’’ বিজেপির মুখপাত্র তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী বলেন, ‘‘রুটিনমাফিক রদবদল হয়েছে।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)