বারাসতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বিজেপির মিছিলে এ দিন তাঁকে মারার চেষ্টায় ছিল তৃণমূলের তিন-চার জনের একটি দল— এমনই অভিযোগ করছে পদ্মশিবির। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাদের। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের হামলায় তাদের এক কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, বিজেপির মিছিলের সময়ে কয়েক জন আইএনটিটিইউসি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। মিছিল থেকে তাঁদের উপরে আক্রমণ করা হয়।
বুধবার বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ের এই ঘটনার জেরে চাঁপাডালি মোড়ে আইএনটিটিউসি পার্টি অফিসের সামনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই তৃণমূল কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ দিন বারাসতের হেলাবটতলা থেকে ‘কন্যা সুরক্ষা মিছিল’ শুরু করে বিজেপি। সেখানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শতদল মাঠে আসার সময়ে চাঁপাডালি মোড়ের কাছে গোলমাল বাধে। মিছিল লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ দ্রুত এসে পদক্ষেপ করে। মিছিল ফের এগোয়। শতদল মাঠে সভাও করেন শুভেন্দু।
এ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে মারার চেষ্টায় ছিল তৃণমূলের তিন-চার জনের একটি দল। পুলিশের সামনেই গোটা ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ। বিজেপির দাবি, তাদের এক কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, বিজেপির মিছিলের সময়ে কয়েক জন আইএনটিটিইউসি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। মিছিল থেকে তাঁদের উপরে আক্রমণ করা হয়।
শুভেন্দু পরে বলেন, ‘‘আজকের কর্মসূচি বানচাল করার জন্য অনেক ধরনের আক্রমণ, ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। মানুষ চায়, তৃণমূলের হাত থেকে পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে। মানুষ এদের আগামী বিধানসভা নির্বাচনে উৎখাত করবে।’’ বারাসতের পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েক জনকে দেখে বিজেপি কর্মীরা স্লোগান দেয়। তারাও পাল্টা দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমাদের কেউ হামলা করেনি।’’
বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নারায়ণ গোস্বামী, চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘‘বালু (জ্যোতিপ্রিয়ের ডাক নাম) বেরিয়েছে। দু’বছর সাজা খেটে জামিনে বাইরে। যখন-তখন ঢুকবে (জেলে)।’’ অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীকে তিনি ‘দেখে নিচ্ছি’ বলে হুঁশিয়ার করেন। বারাসতের তিন বারের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীকে এলাকায় দেখা যায় না বলে কটাক্ষও করেছেন।
তৃণমূলের বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি কাকলি ঘোষদস্তিদার বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতা গত বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে অনেক হুমকি দিয়েছেন। এ রকম অরাজনৈতিক বক্তব্য নিয়ে বলার কিছু নেই।’’