মেয়েকে ধর্ষণ-খুন, ১৫ মাসের মধ্যে বাবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৭ আগস্ট ২০২৫
নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ১৫ মাসের মধ্যে বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা শোনাল আসানসোল পকসো আদালত। ২০২৪ সালের মে মাসে আসানসোলের হীরাপুর থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। সোমবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত বাবাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। বুধবার বিচারক সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় তার সাজা ঘোষণা করেছেন। নির্যাতিতার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০২৪ সালের ১৩ মে হীরাপুর থানার নরসিংবাঁধ এলাকায় ঘরের বিছানা থেকে এক ১৪ বছরের কিশোরীর দেহ উদ্ধার করা হয়। তার কান ও মুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। গলায় ছিল কালশিটে দাগ। মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চিৎকার শুরু করেন তার মা। চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। সেই সময় বাধা দেয় বাবা। যদিও তার কথা না শুনে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যান মা ও প্রতিবেশীরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ওই কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহের ময়নাতদন্তের পর জানা যায় তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। পরে নির্যাতিতার মা তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই নির্যাতিতার বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ জানিয়েছেন, মেয়েকে ধর্ষণের পর তার গলায় দড়ি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিল বাবা। পরে একটি ডাস্টবিন থেকে দড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে আরও বেশ কয়েকটি প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। নির্যাতিতার যৌনাঙ্গ থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল তা অভিযুক্তের ডিএনএ–র সঙ্গে মিলে যায়। পাশাপাশি বিছানার চাদর থেকেও একাধিক প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এই মামলায় মৃতার মা, তদন্তকারী অফিসার, চিকিৎসক সহ ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সব তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে আদালত।