আগামী ৯ আগস্ট পূর্ণ হতে চলেছে আরজিকর কান্ডের এক বছর। তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে থাকলেও এখনও বিচার অধরা। তার ঠিক তিনদিন আগেই ন্যায় বিচারের দাবিতে বুধবার দিল্লি গেলেন আরজি করে নির্যাতিতার বাবা-মা। দেখা করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সিবিআই-এর ডিরেক্টরের সঙ্গে। তাঁরা সিবিআই-এর তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীরা এখনও অধরা। সেজন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপর আস্থা হারিয়েছেন তাঁরা। তাই সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং সিবিআই ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছেন তরুণীর বাবা-মা।
প্রসঙ্গত, গত একবছর ধরে তাঁদের মেয়ের প্রকৃত বিচার চেয়ে আসছেন। প্রথমে কলকাতা পুলিশের হাতে তদন্তভার থাকলেও পরে বিভিন্ন মহলের চাপের জেরে আদালতের নির্দেশে তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। কিন্তু প্রকৃত বিচার এখনও মেলেনি। ধৃত সিভিক সঞ্জয় রায়ের হাজতবাসের সাজা হলেও সন্তুষ্ট নন নির্যাতিতা চিকিৎসক তরুণীর বাবা-মা।
বুধবার তাঁরা দিল্লিতে রওনা হওয়ার মুহূর্তে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ভয় পেয়েছে। তাই আগামী ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযান রুখতে নানা কৌশল করছে। কিন্তু মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন আটকানোর ক্ষমতা কারোর নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে অভয়ার বাবা জানান, টাকা দিয়ে বা ভয় দেখিয়ে ভোট কেনেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় থাকাই মুখ্যমন্ত্রীর একমাত্র ভাবনা। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার ছিনিয়ে নিতে নবান্ন অভিযান রোখার চেষ্টা করছেন।
নির্যাতিতার মা জানান, ‘আমরা বিশ্বাস করি, মেয়ের খুন-ধর্ষণের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীও জড়িত। তাই নবান্ন অভিযানে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। তবে আমরা পিছিয়ে আসব না। মেয়ের ন্যায় বিচার পেতে আন্দোলন চালাবো।’
উল্লেখ্য, ৯ আগস্ট আরজিকর কান্ডের এক বছর পূর্তির দিনে নির্যাতিতার পরিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। সেই অভিযানে সকল রাজনৈতিক দলকেও আহবান জানিয়েছেন তাঁরা। সেজন্য সমস্ত রাজনৈতিক দপ্তরে পৌঁছে গিয়ে তাঁরা নবান্ন অভিযান সফল করার ডাক দিয়েছেন। তবে সেই তালিকায় ব্যতিক্রম রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের আমন্ত্রণ জানাতে রাজি নন নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই অভিযান রুখতে মাঠে নেমেছে শাসক দল।