• গ্রামে যাওয়ার পথ নেই, আলই ভরসা বাগদার ১৬টি পরিবারের, বর্ষায় যাতায়াতের জন্য জমির উপর চলছে নৌকা
    বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: গ্রামে ঢোকার কোনও রাস্তা নেই। জমির আলের উপর দিয়েই চলাচল করতে হয় বাসিন্দাদের। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে এখন জলের তলায় চাষের জমি ও চলাচলের সেই ‘রাস্তা’ও। বাধ্য হয়ে নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে বাগদা ব্লকের আউলডাঙা খড়েরমাঠ গ্রামের ১৬টি পরিবারের সদস্যদের। দুরবস্থার মধ্যে থাকলেও তাঁদের কেউ খোঁজ রাখেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। বুধবার হাঁটু জল পেরিয়ে ওই গ্রামে পৌঁছলেন বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর। বাসিন্দাদের হাতে তুলে দিলেন ত্রাণ এবং ত্রিপলও। দিলেন রাস্তা তৈরি করার আশ্বাসও।

    পাকা রাস্তা থেকে আউলডাঙা খড়েরমাঠ গ্রামের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। ফলে আলের রাস্তা দিয়েই চলাচল করেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু এখন বর্ষায় সময়ে সেই জমির আলেও কোথাও কোথাও এক হাঁটু জল। কোথাও তা কাদায় ভরা। সেসব পেরিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে গ্রামের কচিকাচা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। অতিবৃষ্টির কারণে প্রায় ১৫ দিন ধরে পুরো গ্রামই জলমগ্ন। বাড়ির উঠোনেও নৌকা চলাচল করছে। বুধবার জলমগ্ন গ্রাম পরিদর্শনে যান বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান সহ পঞ্চায়েতের কর্তারা। বিধায়ককে সামনে পেয়ে গ্রামের রাস্তা ও জল নিকাশি ব্যবস্থা করার জন্য আবেদন জানান বাসিন্দারা।

    স্থানীয় বাসিন্দা শিলা রায় বলেন, প্রায় ১৫ দিন ধরে আমরা জলবন্দি অবস্থায়। গ্রামে যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই। আমরা বিধায়কের কাছে রাস্তার জন্য বলেছি। বিধায়ক আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এবিষয়ে বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, এটা ঠিকই যে ওই গ্রামে যাওয়ার কোনও রাস্তা নেই। আমি গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। স্থানীয় পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা এবং নিকাশি সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হব।   নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)