চার বছর আগে তৈরি হলেও চালু হয়নি বারাকপুর ধোবিঘাটের জেটি
বর্তমান | ০৭ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো ধোবিঘাট। ব্রিটিশ আমলে এখানে একটি জেটি তৈরি করা হয়। এখান থেকেই গঙ্গা পার করে রোজ হাজার পঞ্চাশেক মানুষ শ্রীরামপুর আসা-যাওয়া করেন। টিকিটের মূল্য আগে ছিল ৭ টাকা। এপ্রিল মাসে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে আট টাকা। রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত এবং প্রাচীন এই ফেরিঘাটের অবস্থা বেহাল। অথচ চার বছর আগে রাজ্য সরকারের তৈরি করা নতুন লোহার জেটি আজও চালু হল না। তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রেলিংয়ের ফাঁক গলে জেটিতে উঠে পড়ছে স্কুল, কলেজের ছেলেমেয়েরা। এখন সেলফি জোন হয়ে দাঁড়িয়েছে তৈরি হয়ে পড়ে থাকা ওই জেটি।
তবে এর মধ্যে জেটিতে ফের রং হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তাহলে কি নতুন জেটি চালু হবে? এ ব্যাপারে অবশ্য বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড থেকে কোন আশার কথা শোনা যায়নি। এমনকী বারাকপুর মহকুমা প্রশাসনও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি। লোহার জেটিতে যাতে মরচে না ধরে, সেই জন্যই রং করা হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর।
পুরনো জেটিতে কর্মরতরা জানালেন, বর্ষায় গঙ্গার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। জোয়ারের সময় জল অনেকটা উঠে যায়। পুরনো জেটি তখন প্রায় ডুবে যায়। ফেরিঘাটে ওঠা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়। শ্রীরামপুর থেকে প্রচুর ছেলেমেয়ে বারাকপুরের স্কুলগুলিতে পড়তে আসে। চার বছর আগে নতুন জেটি তৈরি হলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে তা চালু হয়নি। টিকিট কাউন্টারে থাকা এক কর্মী জানালেন, বন্ধ থাকা নতুন জেটিতে সারাদিন স্কুল, কলেজের ছেলে মেয়েরা থাকে। কে ওদের বারণ করবে! এর মধ্যে একটি আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আইনজীবী বীরেন ভগত জানিয়েছেন, অবিলম্বে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। উত্তর বারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলার আইনজীবী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের গাফিলতির জন্যই নতুন জেটি চালু করা যাচ্ছে না। রাজ্য সরকার নতুন জেটি তৈরি করলেও তার অনুমোদন দেয়নি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাই প্রাণ হাতে করে পুরনো জেটি দিয়েই হাজার হাজার মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড সূত্রেও জানা গিয়েছে, এখনও দিল্লি থেকে অনুমোদন না আসায় জেটিটি চালু করার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়ে গিয়েছে।