নার্সিংহোমে ভর্তি থাকা রোগিনীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার কর্মচারী। ওই মহিলা কেবিনে ছিলেন। আশপাশে কেউ ছিল না। সেই সুযোগে গ্রুপ ডি-র ওই কর্মচারী তাঁর ঠোঁটে চুমু খায় বলে অভিযোগ। গত শনিবার এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার স্বামী। তার প্রেক্ষিতে একবালপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আব্দুল শুভানকে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ, ৩ অগাস্ট থেকে একবালপুরের ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মহিলা। তাঁর পিত্তথলিতে পাথর হয়েছিল। অপারেশন হওয়ার কথা। সেদিন সকাল ১১.৪০ মিনিট নাগাদ তাঁকে হাসপাতালের জেনারেল বেড থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তৃতীয় তলার কেবিনে।
তখন ওই মহিলা একটু অসুস্থ ছিলেন। কেবিন হওয়ায় আশপাশে তেমন কেউ ছিলেন না। সেই সুযোগে ওই যুবক তাঁর ঠোঁটে চুমু খান। ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই হকচকিয়ে যান মহিলা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে তাঁর স্বামীকে গোটা ঘটনা জানান। একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে হাসপাতালের ভিতরে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের দাবি, অভিযোগের সত্যতা মেলে ফুটেজে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭৫(২) ধারায় FIR করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ পেয়েই পদক্ষেু করা হয়। ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলেন তদন্তকারীরা।
এরপর সেদিনই বেলা আড়াইটে নাগাদ শুভানকে হাসপাতাল চত্বর থেকেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে কোর্টে পেশ করা হয়। আদালত ৭ অগাস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসার পর হাসপাতালে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বছরখানেক আগে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়। ঘটনায় দেশজুড়ে আন্দোলন দানা বাঁধে। দোষী সাব্যস্ত হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় দাস। সেই ঘটনার পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল।