• খেজুরিতে জোড়া মৃত্যু মামলা, SSKM-এ দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ আগস্ট ২০২৫
  • খেজুরিতে দু’জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সে সংক্রান্ত মামলায় এবার বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মৃতদের পরিবারের আবেদনে সাড়া দিয়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। আদালত জানিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালের সুপারের নেতৃত্বে একটি বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে, বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে হবে। পাশাপাশি, ময়নাতদন্তের সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে এবং রিপোর্ট আদালতে সিল বন্ধ খামে জমা দিতে হবে।


    এর আগে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চ দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন। যদিও তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, প্রথম ময়নাতদন্তে যে চিকিৎসক যুক্ত ছিলেন, তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করা হোক। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানায় মৃতদের পরিবার। আদালতে এদিন মৃতদের পরিবার দাবি করে, তাঁরা এসএসকেএম বা এইমস-এর মতো কেন্দ্রীয় পর্যায়ের হাসপাতালে নিরপেক্ষ ময়নাতদন্ত চান। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম ময়নাতদন্ত নিয়ে তাঁদের গভীর সন্দেহ রয়েছে। কারণ, দুই দেহেই স্পষ্ট আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও পুলিশ দাবি করেছে, ওই দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে। পরিবারের দাবি, তাঁদের পিটিয়ে মারা হয়েছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, প্রথম ময়নাতদন্তে সমস্ত প্রক্রিয়া ভিডিয়োগ্রাফ করা হয়েছিল এবং পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতেই তা সম্পন্ন হয়েছিল। এমনকি, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি।

    তবে বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, তাঁরা প্রথম ময়নাতদন্তের গাফিলতি নিয়ে কিছু বলছেন না, বরং মৃতদের পরিবারের সন্দেহ নিরসনের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। এই নির্দেশে স্পষ্ট, আদালত চায় যাতে পরিবারের মধ্যে যে প্রশ্নগুলি রয়েছে, সেগুলির নিরপেক্ষ জবাব পাওয়া যায়। প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই খেজুরির একটি স্থানীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে মৃত্যু হয় সুজিৎ দাস ও সুধীর পাইক নামে দুই যুবকের। প্রথমে ঘটনাটি ঘিরে উত্তেজনা ছড়ালেও, পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর কথা জানায় পুলিশ। তবে পরিবারের তরফে শুরু থেকেই পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে এবং সেই দাবিতেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)