বাংলাদেশ সীমান্তে চাষ করতে গিয়ে উধাও কৃষক! পরদিন উদ্ধার দেহ, প্রশ্নের মুখে বিএসএফের ভূমিকা
প্রতিদিন | ০৬ আগস্ট ২০২৫
শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: বাংলাদেশ সীমান্তে চাষ করতে গিয়ে উধাও মুর্শিদাবাদের কৃষক। দিনভর খোঁজাখুঁজিতেও মেলেনি হদিশ। পরেরদিন অর্থাৎ বুধবার সকালে সীমান্তের চরে যেখানে চাষ করতে গিয়েছিলেন, সেখানেই মিলল দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতিতে। কীভাবে মৃত্যু? উত্তর অজানা। তবে গোটা ঘটনার দায় বিএসএফের কাঁধেই চাপিয়েছে মৃতের পরিবার। ইতিমধ্য়েই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। শুরু তদন্ত।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নাসিরুদ্দিন শেখ। বয়স ৫০ বছর। মুর্শিদাবাদের সুতির ২ নম্বর ব্লকের জগতাই ১ নম্বর পঞ্চায়েতের দেবীপুরের বাসিন্দা তিনি। প্রতিদিনই ভোর সাড়ে ৫ টায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দেবীপুর চরে যেতেন চাষ করতে। মঙ্গলবারও চাষ করতে যান তিনি। নিয়ম মেনে বিএসএফ ক্য়াম্পে যাবতীয় নথি জমা দিয়ে যান তিনি। প্রতিদিন সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফিরতেন। মঙ্গলবার দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও তিনি ফেরেননি। এতেই সন্দেহ হয় পরিবারের সদস্যদের। তারা খোঁজ নিতে যান বিএসএফ ক্যাম্পে।
বিএসএফ আধিকারিকরা জানান, সকাল ১১ টা বেজে ৪৬ মিনিটে চর থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। ওই সময়ে রেজিস্টার থেকে নামও কেটে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। এতেই পরিবারের চিন্তা বাড়ে কয়েকগুণ। সঙ্গে সঙ্গে সুতি থানার দ্বারস্থ হন তাঁরা। এরপর থানার তরফে বিএসএফের ৭১ নম্বর ব্যাটালিয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ দেবীপুর চর থেকে থেকে উদ্ধার হয় নাসিরুদ্দিনের দেহ। খবর পেয়েই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, বিএসএফের উদাসীনতার কারণেই এই ঘটনা। ঠিক কী ঘটেছিল ওই প্রৌঢ়ের সঙ্গে, তা জানতে পর্যাপ্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এবিষয়ে এখনও বিএসএফের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।