• মহেশতলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে অন্য অ্যাকাউন্টে! প্রতারণাচক্রের সন্ধানে তদন্তে পুলিশ
    প্রতিদিন | ০৬ আগস্ট ২০২৫
  • সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: বড়সড় প্রতারণাচক্রের পর্দাফাঁস! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মহেশতলার উপভোক্তার টাকা দু’বছর ধরে ঢুকছে মুর্শিদাবাদে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে! শুধু তাই নয়, অনেক উপভোক্তার ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টেই এই টাকা ঢুকছে না বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে পুরসভাতেও জানানো হয়েছে বলে খবর। কোনও প্রতারণাচক্র কি এর পিছনে কাজ করছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে। মহেশতলা পুরসভার তরফে এই বিষয়ে প্রশাসনের কাছে জানানো হয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক দুলাল দাস বলেন, “পুরসভার পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসনকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে।”

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা ঘুরপথে আবেদনকারীর অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে চলে যাচ্ছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে! এমনই বড়সড় এক প্রতারণা চক্রের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলায়। এব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মহেশতলা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাগমা বেগম। তাঁর অভিযোগ, দু’বছর আগে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে প্রকল্পের আবেদন করেছিলেন। সব কিছু হয়েও গিয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই এখনও পর্যন্ত ঢুকছে না। পুরসভায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন তাঁরই আধার কার্ডের ভিত্তিতে প্রতি মাসেই নির্দিষ্ট সময় লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এ ব্যাপারে তাঁকে নির্দিষ্ট প্রমাণও দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ।

    ব্যাঙ্কে গিয়ে ওই তরুণী জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্টে কোনও টাকাই ঢোকেনি। অভিযোগকারী মহিলা মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা সাইবার ক্রাইম শাখায় বিষয়টি জানান। সেখানে তাঁকে বলা হয়, তাঁর ওই টাকা মুর্শিদাবাদের কোনও একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছে। তখনই প্রতারণাচক্রের বিষয়টি সামনে আসে। উপভোক্তা ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমেছে। তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসনও। পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির রিষড়ার ও মুর্শিদাবাদের দু’টি ব্যাঙ্কে এভাবেই এই প্রকল্পের টাকা প্রকৃত উপভোক্তার পরিবর্তে অন্যের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু তিনিই নন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না প্রায় ৬০ জন উপভোক্তা। তাঁদের টাকাও কি অন্য কোথাও জমা পড়ছে? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)