আর্থিক প্রতারণার মামলার অভিযোগ খারিজ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিনেতা মিঠুন
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
অভিনেতা ও প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গুরুতর আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার এই প্রতারণার অভিযোগ করেছেন তাঁরই প্রাক্তন ও ঘনিষ্ঠ সচিব সুমন রায়চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী। আর্থিক প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ এবং বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে চিৎপুর থানায়। তাঁদের দায়ের করা সেই মামলার এফআইআর খারিজ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মিঠুন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি।
যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন অভিনেতা। সেজন্য তিনি হাইকোর্টে মামলা খারিজের আবেদন জানিয়েছেন। আদালতে তাঁর পক্ষে লড়াইয়ের জন্য আইনজীবীদের একটি দল ইতিমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। মিঠুন চক্রবর্তীর আইনজীবীরা দাবি করেছেন, পুরো ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পুরনো ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে অভিনেতার সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেজন্য মিঠুন চক্রবর্তী নিজেই এই মামলার এফআইআর খারিজ করে দেওয়ার জন্য হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছেন।
অভিযোগকারীর দাবি, অভিনেতা মিঠুন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ আইনজীবী বিমান সরকার মিলে একটি হোটেল নির্মাণ প্রকল্পে ইন্টেরিয়র ডেকরেশন বা অভ্যন্তরসজ্জার দায়িত্ব দেন। কাজের প্রথম পর্যায়ে কিছু অর্থ পেলেও পরে অতিরিক্ত কাজ চাপিয়ে দেওয়া হয়। সেই কাজ সম্পূর্ণ করতে গিয়ে স্ত্রীর গয়না বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় করেন সুমন। তিনি সেই কাজ শেষ করলেও অতিরিক্ত অংশের অর্থ দেওয়ার কোনও লিখিত চুক্তি না থাকায় শেষপর্যন্ত পাওনা টাকা আর হাতে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
চিৎপুর থানায় দায়ের করা অভিযোগ অনুযায়ী সুমন ও তাঁর স্ত্রী দাবি করেছেন, মোট ৩৫ লক্ষ টাকা তাঁদের পাওনা, যা এখনও মেটানো হয়নি। শুধু তাই নয়, টাকার ব্যাপারে যোগাযোগ করতে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতেই সুমনের স্ত্রী সোমবার শিয়ালদা আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন।
যদিও অভিযোগকারীদের দাবির পক্ষে কোনও লিখিত চুক্তি বা আইনি চুক্তিপত্র না থাকায় আদালতে এই মামলা কতটা বাস্তবসম্মত হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।