নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: নাবালিকা মেয়েকে মাদকজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণ! দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন গুণধর বাবা। আজ, বুধবার তার সাজা শোনাল আসানসোল আদালত। শুধুই ধর্ষণ নয়, নিজের নাবালিকা মেয়েকেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে নৃশংসভাবে শ্বাসরোধ করে ওই ব্যক্তি। সেই মামলায় মৃত্যুদণ্ডের সাজা পেলেন দোষী। ২০২৪ সালের ১৩ইমে হিরাপুর থানার নরসিংবাঁধ এলাকায় হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটে। সেদিন ভোরেই দোষী ব্যক্তির ঘরে চিৎকার শুরু হয়। তার, স্ত্রী চিৎকার করে বলেছিলেন বড় মেয়ের গলায় কালশিটে দাগ, চোখ ও কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। তারপরেও মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইছেন না তার গুণধর স্বামী। বিষয়টি সকলের নজরে আসতেই পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় নির্যাতিতার মা, তাকে নিয়ে হাসপাতালে যায়।যদিও চিকিৎসক ওই নাবালিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ ময়নাতদন্ত করতেই চক্ষু চড়কগাছ। চিকিৎসকরা পুলিসকে জানান ওই নাবালিকাকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে। তারপরেই মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয় গুণধর বাবা। এরপর চলতে থাকে বিচার প্রক্রিয়া। ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং একাধিক প্রমাণ হাতে পেয়ে আসানসোল আদালতের বিচারক সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ বুধবার, মামলার সাজা ঘোষণা হয়। এই নির্মম ঘটনাকে বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা বলে ব্যাখ্যা করে দোষী বাবার মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী সোমনাথ চট্টরাজ বলেন, এক বছর তিন মাসের মধ্যে নৃশংস ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের এই সাজা নজির হয়ে থাকবে।