• কিঞ্জল-সহ কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তারকে বৌবাজার ও হেয়ার স্ট্রিট থানায় তলব
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
  • আরজি করে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচিতে আইন ভাঙার অভিযোগ। এই ঘটনায় কিঞ্জল নন্দ-সহ বেশ কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তার এবং ডাক্তারি পড়ুয়াকে তলব করল বৌবাজার ও হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ। অভিযোগ, তাঁরা ২০২৪ সালে অনশন কর্মসূচি চলাকালীন তাঁরা আইন ভঙ্গ করেছিলেন। তার ভিত্তিতেই এই জুনিয়র ডাক্তারদের তলব করা হয়েছে। তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন কিঞ্জলরা।

    জানা গিয়েছে,  কিঞ্জল ছাড়াও চিকিৎসক অরিন্দম ঘোষ, অনিন্দ্যসুন্দর মণ্ডল, অঞ্জন মণ্ডল-সহ বেশ কয়েক জন এই নোটিস পেয়েছেন। এই নোটিস প্রসঙ্গে আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মণ্ডল প্রশ্ন তুলেছেন, যদি সত্যিই আইন ভাঙা হয়ে থাকে, তাহলে এতদিন পর কেন নোটিস পাঠানো হচ্ছে? ঘটনার সময়েই কেন নোটিস দেওয়া হয়নি? তিনি আরও বলেন, যদি সত্যিই পুলিশ আধিকারিকের শ্লীলতাহানি হয়ে থাকে, তাহলে ঘটনার ১০ মাস পরেই কেন এই পদক্ষেপ? এই ঘটনাকে তিনি প্রতিহিংসামূলক বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি প্রতিবাদ কর্মসূচির মাধ্যমে এর জবাব দেবেন বলে জানিয়েছেন।

    এ ব্যাপারে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার সংবাদমাধ্যমে বলেন, গত বছর ধর্মতলায় অনশন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধারা দেওয়া হয়েছে। বেআইনি জমায়েত, পুলিশের কাজে বাধাদান, মহিলা পুলিশের শ্লীলতাহানি, পুলিশকে আঘাত ইত্যাদি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে এ ভাবে ভয় দেখিয়ে আন্দোলনকে দমন করা যাবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।

    দেবাশিস বলেন, ‘গত ৩-৪ দিন ধরে লক্ষ্য করছি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর-সহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক, ইন্টার্ন, পড়ুয়াদের কাছে পুলিশের নোটিস যাচ্ছে। আমরা যা জানতে পেরেছি, এখনও পর্যন্ত সংখ্যাটা ছয়। তবে সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি।’

    উল্লেখ্য, গত বছর আগস্টে আরজি করে পড়ুয়া তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে শামিল হন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা অপরাধীকে চিহ্নিত করা এবং ন্যায্য বিচারের দাবিতে টানা কর্মবিরতি ঘোষণা করেন। পরে লালবাজার অভিযান ঘিরে বৌবাজারে পুলিশি ব্যারিকেডের সামনে রাতভর অবস্থান করেন। এরপর দফায় দফায় আন্দোলন করেন তাঁরা। পরে কর্মবিরতি তুলে নিলেও পুজোর মধ্যেও ধর্মতলায় আমরণ অনশনে বসেন তাঁরা। শেষে ২১ অক্টোবর নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর অনশন প্রত্যাহার করে নেন।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)