বিশেষ নিবিড় সংশোধন অর্থাৎ এসআইআর নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সভা থেকে কেন্দ্রকে বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআর–এর নামে এনআরসি করার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, আধার, ভোটার ও রেশন কার্ড কোনওটাই যদি না চলে তাহলে কোনটা চলবে? কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই পরিচয়পত্রগুলি তো কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনই দিয়েছে। তাহলে এগুলি কেন বৈধ হবে না? পাশাপাশি রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্য ফের একবার ডিভিসি ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে দায়ী করেছেন মমতা। ডিভিসির জল আটকাতে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ডিভিসি জল ছাড়লে কীভাবে তা আটকানো যায় তার পরিকল্পনা করা হবে। প্রয়োজনে কয়েকটি বাঁধও তৈরি করবে রাজ্য।
মঙ্গলবার ঘাটালের সভা থেকে নাগরিকত্বের নথিগুলি নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রকে বিঁধেছেন মমতা। আধার, ভোটারের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি এসআইআর–এ প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার করা না গেলে কোনটা ব্যবহার করা যাবে সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে পরিকল্পনামাফিক গেম খেলছে। ষড়যন্ত্র করে মানুষের নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এসব কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এসআইআর–এর মাধ্যমে কেন্দ্র এনআরসি চালুর পরিকল্পনা করছে বলেও আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সকল ঘাটালবাসীকে ভোটার তালিকায় নাম তোলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আমি প্রতিবাদ করেছি বলেই তাঁরা বলছে, আমাকে ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে গ্রেপ্তার করবে। তাঁদের হুমকিকে আমি ভয় পাই না।’
মঙ্গলবার ঘাটালের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ দেব, জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি এবং পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র ও ডিভিসিকে তোপ দাগেন তিনি।