বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থার ঘটনা প্রতিদিনই সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছে। বাংলায় কথা বলায় পশ্চিমবঙ্গের অনেক নাগরিককে বাংলাদেশি দাগিয়ে দিয়ে পুশব্যাক করে সেদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। দাবি করা হচ্ছে, পুশব্যাক করা ব্যক্তিদের অনেকের কাছেই ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই আবহে দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ মালা রায়। কেন্দের তরফে তার জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বন্দী সঞ্জয় কুমার। তবে মালা জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের জবাবে তিনি সন্তুষ্ট নন। কৌশলে তাঁর প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন মন্ত্রী।
মালা রায়ের প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রের দেওয়া পরিচয়পত্র কি ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে? এবিষয়ে বিস্তারিতভাবে সংসদে জানানো হোক। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন ছিল, ভারতীয় নাগরিকত্বের পরিচয় হিসেবে কোন কোন পরিচয়পত্রকে আদালত মান্যতা দেয়? মালার এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন ২০০৪ সালে সংশোধিত হয়েছে। সেই আইন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকার ভারতের নাগরিকদের নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক করেছে। সেই সঙ্গে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র (ন্যাশনাল আইডেনটিটি কার্ড) দেওয়াও বাধ্যতামূলক হয়েছে। ২০০৩ সালের নাগরিকত্ব বিধি অনুযায়ী স্থির হবে, কীভাবে নাগরিকত্বের পরিচয়পত্রগুলি তৈরি হবে বা মান্যতা পাবে।