বারাকপুরে গঙ্গার ঘাটের সংস্কারের দাবি, সমীক্ষা করে দেখল সেচদপ্তর
বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: গঙ্গার স্রোত দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে জলস্তর। গঙ্গা ক্রমে বারাকপুরের দিকে সরে আসছে। ভাঙছে পাড়। মণিরামপুরে প্রায় এক কিলোমিটার পাড় গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে গেছে। দু’টি পার্কও গঙ্গার গর্ভে চলে যাচ্ছে। গঙ্গার জলস্তর, স্রোত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে গঙ্গার ঘাটগুলিও ক্রমে ভেঙে যাচ্ছে। জলের কিছুটা নীচে থাকা সিঁড়িগুলি জলের স্রোতে ভেঙে গিয়েছে। ফলে ঘাটগুলিতে এখন স্নান করতে নামা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবিলম্বে গঙ্গার ঘাটগুলি সংস্কার করা দরকার। তাই বিপজ্জনক গঙ্গার ঘাটগুলির তালিকা তৈরি করে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার কাছে চিঠি দিলেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক। এছাড়া নৈহাটির বিধায়ক সনৎ দে-ও সেচমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গঙ্গার ঘাটগুলির বেহাল দশার কথা উল্লেখ করেন।
এরপরই সম্প্রতি সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়াররা সরেজমিনে বারাকপুরের গঙ্গার ঘাটগুলি ঘুরে দেখেন। ঘাটের সিঁড়িগুলির অবস্থাও খতিয়ে দেখেন তাঁরা। দেখা যায়, বেশ কয়েকটি ঘাটের সিঁড়ি কিছুটা নামার পর আর নেই। তাই সেখান থেকে গঙ্গায় নামলে তলিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভবনা। এই সমীক্ষার পর পাঁচটি ঘাট সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে। যে ঘাটগুলির অবস্থা বেশি খারাপ সেগুলি হল ভাটপাড়ার মেঘনা ঘাট, হর ঘোষ রোড ঘাট, কালীবাড়ি ফেরিঘাট, সাধুঘাট, পঞ্চানন তলা ফেরিঘাট, নৈহাটির রামঘাট, গোয়ালাপাড়া ঘাট, ব্যানার্জিপাড়া ঘাট, লিচুবাগান ঘাট, হালিশহরের সিদ্ধেশ্বরী ঘাট প্রভৃতি। সাংসদ পার্থবাবু বলেন, ঘাটগুলির অবস্থা ক্রমে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে। ইঞ্জিনিয়াররা সমীক্ষা করেছেন।
পাঁচটি ঘাট সংস্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। বর্ষাকাল চলে গেলে কাজ শুরু হবে। নিজস্ব চিত্র