ঘাটালে মমতাকে দেখার জন্য তৃণমূল নেতা-কর্মী, সমর্থকদের ব্যাপক ভিড়
বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
সংবাদদাতা, ঘাটাল: মঙ্গলবার ঘাটালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য দলের কর্মী, সমর্থক এবং নেতাদের ভিড় ছিল দেখার মতো। মুখ্যমন্ত্রী ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে আসার কথা ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা কমিটির বুথস্তর পর্যন্ত নিখুঁত ‘নেটওয়ার্কি’ থাকার ফলেই এটা সম্ভব হয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূল নেতা তথা চন্দ্রকোণার বিধায়ক অরূপ ধাড়া, তৃণমূলের ঘাটাল ব্লক সভাপতি দিলীপ মাজি, তৃণমূল নেতা তথা দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার পাত্র প্রমুখ বলেন, প্রতিটি কর্মসূচিকে সফল করার ব্যাপারে বিধায়ক উদ্যোগ নেওয়ায় কর্মী সমর্থকরা এত সক্রিয় হয়েছেন। এদিন ঘাটাল যাওয়ার পথে প্রতিটি রাস্তায় মুখ্যমন্ত্রীকে অভিবাদন জানান তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও টাকা বরাদ্দ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের তহবিল থেকেই এই মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ করতে চলেছেন। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করার পর মুখ্যমন্ত্রী এই প্রথমবার ঘাটালে এলেন। সেজন্যই দল চেয়েছিল ঘাটালবাসীদের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশেষ অভিনন্দন জানাতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘাটাল এসেছিলেন রামজীবনপুর, ক্ষীরপাইয়ের উপর দিয়ে। বন্যা পরিদর্শন করে দাসপুর, নাড়াজোল, কেশপুর হয়ে মেদিনীপুর যান। মুখ্যমন্ত্রীকে ঘাটাল মহকুমার প্রায় প্রতিটি রাস্তার মোড়ে অভিনন্দন জানানো হয়। অজিতবাবু নিজে শ্রীনগর, ক্ষীরপাই, ঘাটাল, দাসপুর, নাড়াজোল ও কেশপুরে কর্মিসভা করেন। শুধু ঘাটালে মুখ্যমন্ত্রীর আগমনের জন্য নয়, ২১ জুলাইয়ের শহিদ সভাতেও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা থেকে ৪০০র মতো বাস দেওয়া হয়েছিল। আজ, বুধবার ঝাড়গ্রামে পদযাত্রায় হাঁটার জন্য ঘাটাল থেকে ৩৫০টি বাসে তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা গিয়েছেন।-নিজস্ব চিত্র