• দুর্গাপুরে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ডিভিসি মোড়ে বেহাল আন্ডারপাস, ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা
    বর্তমান | ০৬ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুরের ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ডিভিসি মোড়ের আন্ডারপাসের বেহাল অবস্থা হওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী। অভিযোগ, আন্ডারপাস দিয়ে অনবরত নর্দমার জল বয়ে চলেছে। পাশাপাশি সংকীর্ণ আন্ডারপাস দিয়ে অটো-টোটো রিকশ সহ বাইক চলাচল করায় পথচারীরা দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। আরও অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা আন্ডারপাসটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হওয়ায় বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পুলিস প্রশাসনকে বলেও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে আন্ডারপাসটি সংস্কারের পাশাপাশি যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে হবে।

    পুরসভা ও পুলিসের দাবি, ওই আন্ডারপাসের সমস্যা মেটাতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান করছে না।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাতীয় সড়কের সিক্স-লেন সম্প্রসারণ হওয়ার পরে ডিভিসি মোড় বিপজ্জনক হয়ে ওঠে পথচারীদের জন্য। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য সিটি সেন্টার হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে আসার জন্য জাতীয় সড়ক পারাপার করা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। কয়েক বছরে ওই ওয়ার্ডের ভগৎ সিং পল্লি এলাকার প্রায় ১০ জনের মৃত্যু হয় জাতীয় সড়ক পারাপার করতে গিয়ে। দুর্গাপুরের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ডিভিসি মোড়। ওই মোড়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ রাস্তা পারাপারের জন্য ‘ইউ টার্ন’ উড়ালপুল করেছে। কিন্তু উড়ালপুলের উচ্চতা বেশি হওয়ায় হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে যাতায়াত প্রায় দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছিল ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দাদের। ফলে তাঁরা আইন ভেঙে হেঁটে জাতীয় সড়ক পারাপার করতে গিয়ে বহুজন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছিলেন। এরপরই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা আন্ডারপাসের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পুলিস প্রশাসনের উদ্যোগে ২০২২ সালে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পুরনো একটি আন্ডারপাস চালু করেন।

    স্থানীয় বাসিন্দা মমতা মণ্ডল ও উষা শর্মা বলেন, বহু মৃত্যু ও দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আন্দোলন করে এই আন্ডারপাস মিলেছে। আন্ডারপাস দিয়ে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে স্থানীয় মানুষ ও পড়ুয়ারা যাতায়াত করেন। সেই আন্ডারপাস নর্দমায় পরিণত হয়েছে। তার মধ্যে আবার অন্ধকারাচ্ছন্ন। দুর্ভোগ তো হচ্ছেই। পাশাপাশি অটো-টোটো ওই বাইক চলাচল করতে শুরু করে দিয়েছে। ফলে ভোগান্তি আরও বেড়েছে। আমাদের সমস্যা দ্রুত পুলিস প্রশাসনকে মেটাতে হবে।

    পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্যা রাখী তিওয়ারি বলেন, সাংসদ কীর্তি আজাদ এই সমস্যা দূর করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ জানিয়েছেন। এছাড়াও আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।ট্রাফিক এসিপি (তিন) রাজকুমার মালাকার বলেন, আমরা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কোনও সদুত্তর মেলেনি। আন্ডারপাস দিয়ে যানবাহন চলাচলের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট ডিরেক্টর নিরাজ কুমার বলেন, দ্রুত ওই আন্ডারপাসটি সংস্কারের পাশাপাশি আলোর ব্যবস্থা করা হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)